
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
শিক্ষকদের জলবায়ু অধিবেশন

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে রবিবার (২৭ নভেম্বর) ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) ৩৮তম এসিইএম কোর্সের ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উপপরিচালক এ জে এম সালাহ্উদ্দিন নাগরী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের প্রধান ডিসপ্লে কর্মকর্তা মাকসুদা বেগম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কর্মকর্তাদের যথেষ্ট ভূমিকা আছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাবের মুখে আমাদের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। যা ব্যক্তি থেকে জাতীয় পর্যায়ে কেউই বাদ যাবে না মর্মে এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সর্বোপরি সচেতনতার মাধ্যমে প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিজ্ঞান জাদুঘর যেহেতু শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কাজ করছে সেহেতু তাদের জলবায়ু সচেতন করতে এ আয়োজন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নায়েমের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়ন) মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সময়ে মনুষ্যসৃষ্ট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়। বিশেষ কোনো অঞ্চল বা জনগোষ্ঠী নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে পড়েছে সারা বিশ্বের মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হলে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস লাগবে। বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে, বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন বাড়াতে হবে। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিরূপ আচরণ বন্ধ করতে হবে।’ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর সুকল্যান বাছাড়। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা খাতুন এবং আনন্দমোহন সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম সামসুজ্জামান।
অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা জাদুঘরের গ্যালারি পরিদর্শন করেন। এছাড়া আগত প্রশিক্ষণার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"