ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন না মুমিনুল
দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। তবুও দলের কেই সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপটা রয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৩০৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে টাইগাররা। মুশফিকদের জবাবটা ভালোই দিয়েছে স্বাগতিকরা। ৮ উইকেট ৩১৩ রান স্কোর বোর্ডে জমা করার পর টাইগারদের পুণরায় ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান ও মুশফিক। সৌম্য ও ইমরুল অর্ধশতকের কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়েছেন। তবে মুমিনুলের ইনিংসটা আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু অন্যদের মতো নিরাশ করেছেন তিনিও। হাতছাড়া করেছেন সেঞ্চুরি। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাই মুমিনুলের কন্ঠে ঝরল আক্ষেপ। বলেছেন, ‘আক্ষেপ তো আছেই। আরো কিছুক্ষণ উইকেটে থাকতে পারতাম। নতুন বলে খেলার ইচ্ছে ছিল। ওভারঅল ব্যাটসম্যানরা সবাই এই কন্ডিশনে ভালো ব্যাটিং করেছে। এডজাস্ট করতে পেরেছে।’ তবে ব্যাটিং দারুণ হলেও প্রোটিয়া বাউন্স কম বেশি পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশের। তবে এটাকে কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছে না বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। বলেছেন, ‘আপনি যদি মনে করেন চ্যালেঞ্জ তাহলে এটা চ্যালেঞ্জ হবে। আপনি যদি মনে করেন হবে না, তাহলে হবে না। কন্ডিশনের উপর নির্ভর করছে কেমন হবে। আমার কাছে এমন কিছু মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় আমাদের টিমে সবাই শট বল খেলতে সক্ষম। ফ্লিক করতে পারে।’
এদিকে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের অলআউট করে দিতে না পারলেও খুব একটা খারাপ বল করেনি বাংলাদেশ। টেস্টে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেওয়ার অভ্যাস না থাকায় প্রতিপক্ষের সিদ্ধান্তে পুণরায় ব্যাটিংয়ে নেমেছে টাইগাররা। তবে ভালো করতে হলে লাল বলে বৈচিত্রতার বিকল্প দেখছেন না বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। বলেছেন, ‘অবশ্যই ওয়ানডেতে পেস বোলিংয়ে একটু পার্থক্য থাকবে। তখন বৈচিত্র্য আনার বিকল্প নেই।’
"