ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ মে, ২০২৪

‘বাংলাদেশকে সেমিতে দেখতে চান’

২০২৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় তাওহীদ হৃদয়ের। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরই মধ্যে লাল-সবুজের জার্সিতে একটি বিশ্বকাপ খেলেছেন হৃদয়। জায়গা পেয়েছেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও। মেগা আসরকে ঘিরে নিজের স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বগুড়ার এ ক্রিকেটার।

গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিজিটাল প্লাটফর্মে ‘দ্য রেড-গ্রিন স্টোরি’তে হৃদয় বলেছেন, ‘জানি না কীভাবে কি হয়েছিল (২০২০ যুব বিশ্বকাপ জয়)। এখন যেহেতু জাতীয় দলের হয়ে খেলছি, চাইব এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপে ভালো করতে। ভালো করা না, আসলে চাইব শিরোপা জিততে। এটা শুধু আমার একার নয়, সবারই চাওয়া। আমার মনে হয় সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়।’

যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের চাওয়া অনুযায়ী খেলতে চান হৃদয়, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ আগানোর চেষ্টা করি। ম্যাচের পরিস্থিতি আসলে কী চাইছে, আমি সেভাবেই খেলার চেষ্টা করি। টিমের যদি চাওয়া থাকে এক ওভারে ২-৩ ছয়, তাহলে সেটাই করার চেষ্টা করব। আবার যদি চাওয়া থাকে ছয়টা বল ডট দেওয়ার, সেটাই করব।’

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভালো যায়নি হৃদয়ের। ছয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছিলেন মোটেই ১৬৪ রান। এর জন্য এলোমেলো ব্যাটিং পজিশনকেই দুষছেন হৃদয়, ‘বিশ্বকাপে আমাকে নিয়ে হয়ত টিমের পরিকল্পনা ছিল এমনই (নিচে খেলানো)। কিন্তু এর আগে আমি উপরেই খেলেছি। হঠাৎ করে যখন ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং করেছি, তখন আমার মানিয়ে নেওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। তবুও চেষ্টা করেছি টিমের চাওয়া পূরণ করতে। হ্যাঁ, কিছু ম্যাচে পারিনি। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, এ পজিশনে কোনো ব্যাটার নিয়মিত ভালো করবে না। এ জায়গাটা এমন, আপনি দুয়েকদিন পারফর্ম করবেন।

‘আমি ওপরে (টপ অর্ডার) দুটা ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। ভারতের সঙ্গে ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলাম। সব মিলিয়ে আমার বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে অনেকে বলে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখেছি। কিন্তু আমি এমনটা মনে করি না। সামনেও যেন এটা দেখতে না হয়।’

এ মুহূর্তে এসে একটা শিরোপা জেতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন হৃদয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা এজন্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা এটা জিতব, তখন আমাদের সেভাবেই মূল্যয়ন করবে। এখন যেমন অস্ট্রেলিয়া বা বড় দলের খেলোয়াড়দের যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা যখন এ পর্যায়ে ট্রফি জিতব, তখন আমাদের মানসিক ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং ছোটরা সামনে গুরুত্ব পাবে। সবমিলিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে একটা শিরোপা জেতা।’

বগুড়ায় বড় হয়েছেন হৃদয়। ছোটবেলা থেকেই মুশফিক রহিমকে আইডল মানেন তিনি। তার পরামর্শেই এগিয়ে যেতে চান সামনের দিকে। এছাড়া ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয় তার মায়ের হাত ধরে। হৃদয়ের লক্ষ্য লাল-সবুজের হয়ে দীর্ঘদিন খেলে যাওয়া। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে সেমিফাইনালে দেখতে চান হৃদয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close