ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৪ মে, ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪

এটাই প্রথম বিশ্বকাপ নয় কানাডার

বাংলাদেশ সময় ২ জুন ভোর সাড়ে ৬টা পর্দা উঠবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্টের নবম সংস্করণের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে সর্বোচ্চ ২০ দল। সরাসরি খেলবে ১২ দল। এছাড়া বাছাইয়ের বাধা টপকে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফ্রিকার নামিবিয়া, উগান্ডা; এশিয়ার নেপাল, ওমান; ইউরোপের আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আমেরিকার কানাডা এবং পাপুয়া নিউগিনি।

আগের ৮ আসর মিস করলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম সংস্করণে খেলার টিকিট কেটেছে তারা। তবে এটাই প্রথম বিশ্বকাপ নয় কানাডার। এর আগে চারবার খেলেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সর্বশেষ ছিল ২০১১ সালে। সেগুলো সোনালি অতীত। পেছনে ফেলে আসা বছরগুলোয় অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে অবশেষে বিশ্বমঞ্চে উঠেছে তারা। আপাতত বৈশ্বিক ইভেন্টে উঠেই স্বপ্নপূরণ তাদের।

কানাডার স্বপ্ন সত্যি হয় গত বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপের আমেরিকান অঞ্চলের ফাইনালে (দুই লেগের) বারমুডাকে হারিয়ে। আসন্ন বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ২০ হওয়ার আশীর্বাদের কার্যত সৌভাগ্যে দরজা খুলে যায় তাদের জন্য। যদিও সেই প্রবেশদ্বারে পা ফেলা সহজ ছিল না। কারণ আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে সেরা ২০ বাইরে ছিল তাদের তাদের। তবে ক্রিকেটের প্রতি তাদের ভালোবাসার বৃথা যায়নি। র‍্যাংকিংয়ে ২৩ নম্বরে থেকেও দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলের হাতে বিশ্বকাপ খেলার টিকিট। ২০ দলের মাঝে র‍্যাংকিংয়ে তারাই সবার শেষে।

সাদ বিন জাফরের নেতৃত্বে এবার প্রথম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে কানাডা। অধিনায়কের জীবনসংগ্রাম জানান দেয় কতটা কঠিন এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তাদের দেশে ক্রিকেট খেলতে। দুই দশক ধরে, জাফর ফুল টাইম চাকরি করেছেন এবং অবৈতনিক স্থানীয় লিগে ক্রিকেট খেলে রাত কাটান। ব্রাম্পটনের বাসিন্দার জন্য পেশাদারভাবে খেলার খুব বেশি সুযোগ ছিল না। বহু বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে ২০১৫ সালে কানাডিয়ান জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন তিনি। কানাডা ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারানোর এক বছর পরে তিনি জাতীয় দলে খেলা শুরু করেন। সেই সময় জাফর বলেছিলেন, তার দেশে ক্রিকেটারদের জন্য কোনো চুক্তি ছিল না। অর্থাৎ বিনা বেতনের ক্রিকেটার তারা! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দিয়েই ভাগ্য ফিরেছে তাদের। গত বছর বাছাই মিশনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়লাভ করেছিল এবং সেই সুবাদে ফিরে পেয়েছে ওয়ানডে স্ট্যাটাস।

কানাডিয়ান ক্রিকেটারদের এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। যেভাবে এগিয়ে চলেছে দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ গ্লোবাল

টি-টোয়েন্টি কানাডা। যদিও তাদের সামনের পথটা কঠিন। মাত্র ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে লড়তে হবে বিশ্বমঞ্চে।

মাত্র ৩ জন ৩০ অনূর্ধ্ব : বুড়ো ক্রিকেটারদের হিড়িক কানাডা দলে। মাত্র ৩ জন ৩৯ বছরের কম বয়সি। তারা হলেন হর্ষ ঠাকার, নিকোলাস কির্টন এবং দিলপ্রীত বাজাওয়া। বাকিরা ৩০ ঊর্ধ্ব। সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৩৯ বছর বয়সে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলবেন এ লেগস্পিন অলরাউন্ডার। বয়সে ভারী দলটির প্রধান কোচ পুবুদু দাসানায়েকে। সাবেক শ্রীলঙ্কা এবং কানাডিয়ান এ ক্রিকেটার তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ২০২২ সালে।

অলরাউন্ডারে ভরপুর : ব্যাটিংয়ে ৫ ক্রিকেটার, বোলিংয়ে ৩ ক্রিকেটার। ১৫ জনের স্কোয়াডের বাকিরা অলরাউন্ডারের তালিকায়। এটাই সত্যি। অধিনায়ক জাফর ছাড়া বাকি চার স্পিন অলরাউন্ডার হলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, প্রগত সিং, হর্ষ ঠাকার এবং দিলপ্রীত বাজওজা। নিকোলাস কির্টন এবং রায়ান পাঠান ব্যাটিং অলরাউন্ডার। এক কথা ব্যাটিং ও বোলিংয়ে পারদর্শী ক্রিকেটারে ভরপুর কানাডা। দলটির ব্যাটিং স্তম্ভ দুই টপঅর্ডার ব্যাটার অ্যারন জনসন। বোলিংয়ে অন্যতম সেরা অস্ত্র কালিম সানা। পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা বাঁহাতি কালিম বিশ্বকাপের স্পোর্টিং উইকেটে হতে পারে কানাডার তুরুপের তাস।

উদ্বোধনী ম্যাচেই নামবে : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম সংস্করণের প্রথম ম্যাচে নামবে কানাডা। আগামী ২ জুন তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ‘এ’ গ্রুপে তাদের অপর তিন ম্যাচ আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান এবং ভারতের সঙ্গে; যথাক্রমে ৭, ১১ ও ১৫ জুন। এদের মধ্যে ভারত বাদে বাকি তিন দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কানাডার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close