ক্রীড়া ডেস্ক

  ০২ মার্চ, ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা হুমকির মুখে পগবার ক্যারিয়ার

নিষিদ্ধ স্টেরয়েড সেবনের কারণে ডোপ টেস্টে গত আগস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন ফরাসি তারকা পল পগবা। এবার ইতালির অ্যান্টি-ডোপিং ট্রাইবুন্যাল তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। পগবার ক্লাব জুভেন্টাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি খুবই হতাশার বলে মন্তব্য করেছেন পগবা। দীর্ঘ এ নিষেধাজ্ঞায় ৩০ বছর বয়সি পগবার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে তাকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইতালির অ্যান্টি-ডোপিং বডি এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। গতকাল ট্রাইবুন্যাল এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জুভেন্টাসকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবহিত করেছে।

পগবা জানিয়েছে, ‘এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সত্যিই খুবই দুঃখিত, মর্মাহত, বিষয়টি হৃদয়বিদারক। আমার কাছ থেকে পেশাদার ক্যারিয়ার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ অভিযোগটি পুরোপুরি ভুল এ দাবি করে পগবার পারফরম্যান্স বর্ধক সাবসটেন্স গ্রহণের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেছেন, ‘অ্যান্টি-ডোপিং আইনের ব্যত্যয় ঘটে জেনেও আমি কখনই ইচ্ছে করে কোনো ধরনের স্টেরয়েড গ্রহণ করিনি। আইনের দিক থেকে আমি নিজেকে স্পষ্ট করতে চাই। আজ আমার বিপক্ষে যে সিদ্ধান্ত জানানো হলো তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত কোর্ট অব আরবিটেশনে আপিল করব।’

এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২৭/২৮ মৌসুম পর্যন্ত পগবা আর খেলতে পারবেন না। ওই সময়ের মধ্যে তার বয়স হবে ৩৪ বছর। গত ২০ আগস্ট উদিনেসের বিপক্ষে সিরি-এ লিগে জুভেন্টাসের প্রথম ম্যাচটির পর সাবেক এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছিলেন। আর এর সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় অ্যান্টি-ডোপিং বিভাগ তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এক মাস পর দ্বিতীয় নমুনায়ও তার স্টেরয়েড গ্রহণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ওই সময় তাকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

পগবার প্রতিনিধি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে টেস্টোস্টেরন গ্রহণ করেছিলেন এ মিডফিল্ডার। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে এ নিষেধাজ্ঞ দুই বছরে নেমে আসতে পারে। পগবার দাবি তিনি যখন ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন তখন কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল না বিধায় সেটা তার পারফরম্যান্স বর্ধক হিসেবে বিবেচিত হবে না। নিষিদ্ধ হবার আগে পগবা এবারের মৌসুমে জুভেন্টাসের হয় দুটি ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলেছেন। ছয় বছর ইউনাইটেডে কাটানোর পর ২০২২ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে জুভেন্টাসে ফিরে আসেন। ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের তিনি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন। ফ্রান্সের জাতীয় দলের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বলেছেন এ ধরনের কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে পগবা করেছেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

এক বিবৃতিতে দেশ্যম বলেছেন, ‘পগবার গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা সত্যিই কঠিন ছিল। আমি তার ব্যথা দেখেছি। নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close