ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৩ আগস্ট, ২০২২

ম্যাককয় আগুনে ছারখার ভারত

একা ওবেদ ম্যাককয় ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। ক্যারিবীয় এই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত গুটিয়ে গেল দেড়শর আগেই। পরে ব্রেন্ডন কিং ও ডেভন থমাসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সহজ জয় তুলে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ক্যারিবীয়রা ফিরল টি-টোয়েন্টি সিরিজের সমতায়।

পরশু রাতে সেন্ট কিটসে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাব দিতে নেমে পাঁচ উইকটে ও চার বল বাকি থাকতেই দাপুটে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৪১/৫)। রেকর্ড বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার ম্যাককয়।

সেন্ট কিটসে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। প্রথম ম্যাচের ভেন্যু ত্রিনিদাদ থেকে সেন্ট কিটসে ক্রিকেটারদের ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম পৌঁছাতে না পারায় দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় খেলা। টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ইনিংসের প্রথম বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বিদায় দেন ম্যাককয়। শুরুর ধাক্কা সামলে ভারতকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন পরের তিন ব্যাটার। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ম্যাককয়-আলজারি জোসেফ ও আকিল হোসেনের শিকার হন তারা। সূর্যকুমার যাদব ৬ বলে ১১, শ্রেয়াস আইয়ার ১০ ও রিষভ পান্ট ১২ বলে ২৪ রান করেন। ফলে ৬১ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। পঞ্চম উইকেটে ৪৩ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ভারতের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া ও রবীন্দ্র্র জাদেজা। পান্ডিয়াকে ৩১ রানে শিকার করে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। তখন ভারতের স্কোর ৫ উইকেটে ১০৪ রান। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে ভয়ংকর হয়ে উঠেন ম্যাককয়। প্রথম স্পেলে দুই ওভারে ১ মেডেনে ১০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের দুই ওভারে ৭ রানে ৪ উইকেট নেন ম্যাককয়। ফলে ২ বল বাকী থাকতে ১৩৮ রানে অলআউট হয় ভারত। জাদেজা ২৭ রান করেন। ১৭ রানে ৬ উইকেট নেন ম্যাককয়। ১৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। টি- টোয়েন্টিতে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকারের রেকর্ডের তালিকায় নাম তুলেন ম্যাককয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।

সিরিজে সমতা ফেরাতে ১৩৯ রানের টার্গেটে ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংয়ের দারুন ব্যাটিংয়ে লড়াই করছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মায়ার্স ৮, অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ১৪ ও শিমরন হেটমায়ার ৬ রানে ফিরলেও, অন্যপ্রান্তে ক্যারিবীয়দের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন কিং। ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করেছেন তিনি। ১৬তম ওভারে কিংকে বোল্ড করে ভারতকে দারুন ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার আবেশ খান। ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ বলে ৬৮ রান করেন কিং। কিং যখন ফিরেন তখন জেতার জন্য ২৭ বলে ৩২ রান দরকার ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শেষদিকে নিয়নিন্ত্রত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলে দেয় ভারতীয় বোলাররা। তাতে শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ফলে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা ছিলো দুই দলেরই। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলটি নো-ডেলিভারি করেন আবেশ। পরের ডেলিভারিতে ছক্কায় ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেন ডেভন থমাস। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন থমাস। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৩১ রান করেন থমাস। ম্যাচ সেরা হন ম্যাককয়। গতকাল রাতেই একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close