ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘ভারতের হৃদয় ভাঙতে চাই’
একসময় বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ মানেই ছিল উত্তেজনার ছড়াছড়ি। বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবল পিছিয়ে পড়েছে অনেকটাই। তবে দীর্ঘদিন পর আবার দুই দেশের লড়াইয়ে পাওয়া যাচ্ছে উত্তাপ। মাঠের খেলার আগে কথার লড়াইয়ে নেমেছেন ফুটবলাররা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। ভরা মাঠে ভারতের হৃদয় ভাঙতে চান বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তিনি।
কলকাতায় খেলা হওয়ায় ফুটবলপ্রেমী বাঙালিদের মাঝে নতুন জাগরণ দেখা দিয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ আছে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে। দুই ম্যাচে কোনো জয়ের দেখা নেই। ড্রও করতে পারেনি এখনো। বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশের চোখ এখন তাই ভারতের দিকে। অন্যদিকে ভারত বুঁদ হয়ে আছে কাতার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে। কাতারকে রুখে দেওয়ায় স্বপ্নের পালে লেগেছে বাড়তি হাওয়া। বিভিন্ন উপাদান মিলিয়ে ফুটবলপাড়ায় প্রধান খবর এখন এ ম্যাচকে ঘিরে।
স্বাগতিক ও শক্তিমত্তার দিক থেকে ম্যাচে ভারতকে ফেভারিট বলতেই হয়। তবে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এত সহজে ছাড় দেবেন না বলেই জানান। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের ফুটবলের অনেক ঐতিহ্য আছে। এটা বড় একটা ম্যাচ। দুই দলের ফুটবলাররা এই ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে আছেন। মাঝ মাঠের লড়াইয়ে যারা এগিয়ে থাকবে, ম্যাচটা তারাই জিতবে। আমার মনে হয়, মাঝ মাঠের ফুটবলাররাই গোলের সুযোগ তৈরি করে দেবেন।’
বাংলাদেশ দলের প্রধান চিন্তা সুনীল ছেত্রিকে নিয়ে। কিন্তু জামাল ভূঁইয়া একক কোনো ফুটবলারে পুরো মনোযোগ দেওয়ার পক্ষে নন। এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে সুনীল ছেত্রির সঙ্গে খেলেছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশি জানান, ‘সুনীল খুবই ভালো একজন স্ট্রাইকার। তবে তাদের আরো ভালো ফুটবলার আছে। শুধু একজনে চোখ দিলে হবে না।’
ম্যাচ নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন না বলেও জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি আগামীকাল (আজ) ভারতের হৃদয় ভাঙতেই মাঠে নামব। আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। চাপ ভারতের ওপর। কারণ তারাও ম্যাচ জিততে পারছে না। আমি সতীর্থদের বলেছি, মাঠে নেমে শুধু নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে। তবে ফেভারিট দল ভারতই।
কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে প্রায় ৮০ হাজার দর্শক থাকবে আজ। তাদের সামনে জামাল ভূঁইয়া তার কথার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারলে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য তা হবে বিশেষ এক দিন।
"