মেহেরুন ইসলাম

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মন ছুটেছে মামাবাড়ি

ছড়া, গল্প এবার ওঠ। মামাবাড়ি যাবে না?

মামাবাড়ির কথা শুনতেই একলাফে উঠে বসল দুই ভাইবোন।

রাতে মামাবাড়ি কখন যাবে, কোন গাড়িতে যাবে, কোথায় ঘুরবে, কী কী খাবে- এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমাতে দেরি হয়। তাই এখন ঘুম ভাঙতে কষ্ট হচ্ছে। তবুও ঘুম-ঘুম চোখেই দুই ভাইবোন রেডি হতে শুরু করল।

তারা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মোংলার উদ্দেশে ‘সুন্দরবন’ বাসে উঠল। ছড়া বাবার কোলে, গল্প মায়ের কোলে বসল। কিছুদূর যেতেই ছড়া ঘুমিয়ে পড়ল। ছড়া গল্পের ছোটবোন, বয়স বছর তিনেক। গল্প ছড়ার বড়, নার্সারিতে পড়ে। পরীক্ষা শেষ, শীতের ছুটিতে মামাবাড়ি যাচ্ছে। তার আনন্দের সীমা নেই। সে খুশিতে আত্মহারা! শুধু সময় দেখছে, আর পথ গুনছে। কখন পথ ফুরাবে, কখন পৌঁছাবে মামাবাড়ি!

গল্প সারাপথ বাবাকে প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। এটা কী, ওটা কী বলে-বলে পাগল করে দিচ্ছে। ষাট গম্বুজ মসজিদ কেন হলো, কীভাবে হলো, আমরা কবে এটা দেখতে যাব- এমন অনেক প্রশ্ন। বাবা বিরক্ত হলেও ছেলের কৌতূহল দেখে মুগ্ধ হলেন। প্রফুল্ল মনে কিছু কিছু উত্তরও দিলেন। ষাট গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিখ্যাত ঘোড়াদিঘির পূর্বতীরে অবস্থিত। খান জাহান আলী (রহ.) এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ৬০টি পিলারের জন্য নাম ষাট গম্বুজ হয়েছে। আবার কেউ কেউ ধারণা করেন সারিবদ্ধ সাতটি গম্বুজ থেকে এসেছে, সাত থেকে হয়েছে ষাট গম্বুজ।

এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলব।

মাথাটা ঝিমঝিম করছে, এখন আর ভালো লাগছে না।

গল্প এটুকু শুনেই সন্তুষ্ট। এটি দেখার আগ্রহ আরো বেড়ে যায় তার। এবার তাকে নিয়ে যেতেই হবে। নাছোড়বান্দা! আব্বু না নিলেও সে যাবে। ছোট মামার সঙ্গে যাবে। ছোট মামা সোহাগ, বাগেরহাটের পিসি কলেজে পড়েন।

গল্পের আব্বু-আম্মুর ক্লান্তিতে ঝিমঝিমানি ভাব। অন্যদিকে গল্পের চোখে কোনো ক্লান্তি নেই। তার মনে আনন্দের ফোয়ারা বয়ে যাচ্ছে। আব্বু-আম্মুর নীরবতায় তার বিরক্ত লাগছে। তাই ছড়াকে ঘুম থেকে টেনে তুলল।

এই বোকা, তুই এত ঘুমাচ্ছিস কেন? মামাবাড়ি যাবি না?

ছড়া ঘুমঘুম চোখে বলে- যাচ্ছি তো।

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যাবি? পথঘাট দেখবি না? কোন পথ দিয়ে গাড়ি কেমনে চলছে এগুলো দেখবি না?

গল্পের বকবকানিতে ছড়ার ঘুমের রেশ কাটে।

হুম, ভাইয়া। আমরা তো এবার ছোট মামার সঙ্গে সুন্দরবনে যাব, তাই না?

তুই ঘুমিয়ে থাক, তোকে ফেলেই আমরা চলে যাব।

ছড়া অভিমানে কান্না শুরু করে। আব্বু-আম্মুকে ডেকে নালিশ দেয়। ততক্ষণে গাড়ি কাঁটাখালী বাসস্ট্যান্ডে থামে। ছড়ার কান্না থামাতে আব্বু চিপস কিনে দেন। বাস আবারও চলতে শুরু করল।

বাস চলছে তো চলছে। কবে যে এপথ ফুরাবে!

আব্বু আর কতক্ষণ লাগবে? বলো না, প্লিজ বলো না?

ছেলেটা এত অস্থির, একে নিয়ে আর পারি না। আব্বুর কথায় মন খারাপ হলো গল্পের। আম্মু তখন সঙ্গ দিলেন তাকে।

এই তো বাবা চলে এসেছি। আর বেশিক্ষণ লাগবে না। বিকেলের আগেই আমরা পৌঁছে যাব, তুমি ছোট মামার সঙ্গে মাঠে খেলতে পারবে।

খেলার কথা শুনে গল্প আরো খুশি হয়।

আম্মু আমার তো র‌্যাকেট নেই। শীতে সবাই মাঠে র‌্যাকেট খেলে।

তোমার নেই, ছোট মামার তো আছে। তুমি ওটা নিয়েই খেলবে।

গল্প এবার কিছুটা শান্ত হলো। চুপচাপ বসে চিপস খাচ্ছে।

আসরের আজান হচ্ছে। সবাই মসজিদে ছুটছে। তখনই বাস এসে থামল মোংলা বাসস্ট্যান্ডে। জানলার ফাঁক দিয়ে ছোট মামাকে দেখেই ডাক দিল ছড়া ও গল্প। ছড়া দৌড়ে ছোট মামার কোলে উঠল আর গল্প তাকে জড়িয়ে ধরল। ছোট মামা আপু, দুলাভাইয়ের সঙ্গে সালাম বিনিময় করে মোংলা খেয়ায় ওঠেন। নদী পারাপারের সময় ছড়া ভয় পেলেও গল্প পায়নি। বরং আব্বু-আম্মুর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও পানি ধরে-ধরে খেলছিল। সেই সঙ্গে ছোট মামাও আশকারা দিচ্ছিল, উচ্ছ্বাসের সঙ্গে দুজন সেলফিও তুলল।

নদী পার হয়ে অটোভ্যানে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল তারা। সন্ধ্যার আগেই মামাবাড়ি পৌঁছাল। নানা, নানি, বড় মামা-মামি, ছোট খালা-খালু, মামাতো বোন সাবা, খালাতো ভাই তানভীর সবার সঙ্গে সালাম বিনিময় হলো। অতঃপর তারা ফ্রেশ হয়ে নাশতা করল। এখন শুধু আড্ডা হবে, মজা হবে।

ছড়ার হালকা ঠাণ্ডা লেগেছে। তাই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। গল্প তানভীর ও সাবার সঙ্গে আড্ডায় মেতেছে। সঙ্গে ছোট মামাও আছেন। ছোট মামা আড্ডার প্রাণ। ছোট মামা না থাকলে কোনো মজাই হয় না। গল্প ছোট মামা বলতেই পাগল।

খুব ভোরে ছোট মামার সঙ্গে তিন ভাইবোন বেরিয়ে পড়ল। চিলাবাজার পার হতেই দিনুর ভিটের বড় পুকুর। পুকুরের চারপাশ ঘেরা নারকেল ও খেজুরগাছে। ছোট মামা ও তানভীর গাছে উঠে রস পারছেন। সাবা ও গল্প নিচে দাঁড়িয়ে আছে। গল্প আফসোস করে গাছে উঠতে না পারায়। তবে এবার প্রমিজ করেছে গাছে ওঠা শিখে তবেই ঢাকা ফিরবে। গল্প খুব আগ্রহের সঙ্গে রস পারা দেখছে। মায়ের মুখে এত দিন গল্পই শুনেছে। আজ বাস্তবে দেখছে। রস নিয়ে ছোট মামা নিচে নামলেন।

গল্প বলো তো রস কেমন? তিতা নাকি মিঠা?

গল্প দ্বিধায় পড়ে গেল। মায়ের কাছে তো এটা শোনা হয়নি। সাবা, তানভীর গল্পের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। ওদের সঙ্গে ছোট মামাও যোগ দিলেন। থাক আর ভাবতে হবে না। ভাবতে ভাবতে দিন ফুরালে রসের পিঠা, পায়েস কখন খাবে?

ছোট মামা সরি, আমি বুঝতে পারছি না। তাহলে এক কাজ করো। নাও একটু খেয়েই দেখ, তারপরে বলো? গল্প ঢকঢক করে এক মগ রস খেয়ে ফেলল। ছোট মামা আমি এবার ঠিক বুঝতে পেরেছি। এ রস খুব মিষ্টি। গল্পের কথায় সবাই জোরে হেসে উঠল।

বিকেলবেলা গল্প ও তানভীর মামার সঙ্গে মাঠে খেলতে যায়। তিন মামুণ্ডভাগনে ক্রিকেট খেলছে। সাবা ও ছড়া দেখছে। ছড়ার আব্বু-আম্মুও সঙ্গে আছেন। খেলার মাঠটা নদীর কাছেই। এটি মোংলা বন্দরের প্রসিদ্ধ পশুর নদী। এ নদীর পারেই ছোট্টগ্রাম কেয়াবুনিয়া। বিকেল হলেই মাঠে ছেলেমেয়েদের হইচই পড়ে যায়। সবাই মিলে কানামাছি, ছু-কিত, বৌচি, বৌচোর, ডাংগুলি, লাটিম, মানিকজোর, গাঁদন খেলতে শুরু করে। ছড়া ছোট হওয়ায় তেমন কোনো খেলায় যোগদান করেনি, ও শুধু দেখছে। সাবা ঠিকই খেলতে ছুটে গেছে।

খেলতে খেলতে বেলাটাও পড়ে এলো। সন্ধ্যার কালিমায় ঘিরেছে চারদিক। শীতের তীব্রতাও বাড়তে লাগল। আম্মুর ডাকে গল্প চলে যেতে লাগল।

ছোট মামা বলল, আগে যেও না। দাঁড়াও, একটা মজা দেখাব।

তানভীর তো জানেই। সাবাসহ গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা ছুটে এলো। মামা ও তানভীর খড়কুটো এনে ম্যাচের কাঠি দিয়ে তাতে আগুন ধরালেন। সবাই মিলে চারপাশে গোল হয়ে বসল। তারপর আগুন পোহাতে লাগল। গল্প তো পুরোই অবাক!

মামা তুমি এই ম্যাজিক আগে তো দেখাওনি?

আরে বোকা, এটা আগে কেমনে দেখাব? এটা শীতকাল ছাড়া জমে না। গরমের দিনে কি কেউ আগুন পোহায় বল?

ছোট মামার কথায় গল্পসহ বাকিরাও হো হো করে হেসে উঠল।

রাতে মামার পাশে শুয়ে গল্প করছে সবাই।

হঠাৎ গল্প বলল, মামা কাল আমি পাখি শিকারে যেতে চাই।

তানভীর, সাবা কেউ কিছু বলছে না। মামার মুখটা মলিন হয়ে গেল।

মামা যাবে না?

সবাই কেমন চুপ হয়ে গেল।

তানভীর বলল, মামা কখনো পাখি শিকার করতে রাজি হন না।

বলো কি ভাইয়া! তা হবে কেন?

আমি পাখি শিকারের কত গল্প পড়েছি, কার্টুন দেখেছি। তখন ভেবেছি আমিও গ্রামে গিয়ে পাখি শিকার করব।

অতিথি পাখি ধরা ঠিক নয় গল্প। ওরা আমাদের অতিথি, ওদের আমরা মারতে পারি না।

আমি অতসব বুঝি না, আমি পাখি শিকারে যাবই।

মামা পড়ল বিপদে। এ ছেলেকে কেমনে বোঝাব!

গল্প শান্ত হও, মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শোন।

বলো মামা?

তোমরা ঢাকা থেকে গ্রামে বেড়াতে এসেছ। তোমরা আমাদের অতিথি।

এখন তোমাদের আদর-যত্নের বদলে মারলে কেমন হবে?

ছোট মামা, হঠাৎ তুমি এ প্রশ্ন কেন করলে?

আগে উত্তর দাও, পরে বলছি।

না, ঠিক হবে না। অতিথিদের আদর-আপ্যায়ন করতে হয়।

বাহ্, খুব সুন্দর বলেছ।

তাহলে এবার শোন। শীতকালে বাইরের দেশে আরো তীব্র শীত পড়ে, যা ও দেশের পাখিদের জন্য কষ্টকর। খাবারেরও খুব অভাব হয় তখন। তাই, শীত ও খাবারের কষ্ট থেকে বাঁচতে ওরা আমাদের দেশে আসে।

এখন বল, আমাদের ওদের কষ্ট বোঝা উচিত নাকি শিকার করে মজা করা উচিত?

গল্পের মনটা খারাপ হয়ে গেল।

সরি, আমি ভুলটা বুঝতে পেরেছি। আর কখনো অতিথি পাখি শিকার করতে চাই না।

গল্পের কথায় মামা সন্তুষ্ট হলেন। অনেক রাত হয়েছে, এবার খেতে চলো। আর দেরি করলে তোমার নানি বকবেন।

ছোট মামার টিমদের আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেল। দেরিতে উঠে ভালোই হলো।

গরম গরম পিঠা রেডি, এখনই খেতে পারবে।

নানি, মামি, খালা মিলে কয়েক রকম পিঠা বানিয়েছে। ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা, পাটিসাপটা, রসের পিঠা, রসের পায়েস। সেমাই পিঠাও তৈরি হচ্ছে, তবে তা দুপুরের জন্য। সঙ্গে হাঁসের মাংসও আছে। ওটা গল্পের আব্বুর খুব প্রিয়।

ভাইবোনরা মজা করে পিঠা খাচ্ছে। গল্পের কুলি পিঠা বেশি প্রিয়। গল্পের গপগপ খাওয়া দেখে মামা মুচকি হাসলেন।

মামা তুমি হাসছ কেন?

একটা গল্প মনে পড়ে গেল।

বলো মামা, কী গল্প?

ছোটবেলায় তোমার মা ও আমি কুলি পিঠার ভাজা নারকেল খেতাম। মা নিষেধ করলেও শুনতাম না। ইচ্ছেমতো খেতাম, পরে পেটব্যথা হতো।

তারপরে?

তারপরে আর কী!

টয়লেটে দৌড় দিতাম।

মামার গল্পে সবাই হেসে উঠলেন।

মাছ ধরাও গল্পের খুব পছন্দ। এটাও করতে হবে।

মামা চলো না, নদীতে মাছ ধরতে যাই।

না, এই শীতে তোমাকে নিয়ে নদীতে গেলে আপা রাগ করবে।

করবে না, মামা চল। কাল তো আমরা চলেই যাব। কাল চলে যাবে তাতে কী, আর মনে হয় আসবে না? পরে আসলে তখন নিয়ে যাব।

না, না, মামা। তুমি এবার ষাট গম্বুজ, সুন্দরবন দেখতেও নাওনি। সব পরের জন্য রেখে দিয়েছ। আমি তো যেতে চেয়েছিলাম। ঠাণ্ডা বেশি পড়েছে, আপা দুলাভাই রাজি হননি।

এতে আমার কী দোষ?

গল্প মন খারাপ করে চলে গেল।

পুকুর পাড়ে গিয়ে চুপচাপ বসে রইল।

কীরে গল্প, তোর মন খারাপ কেন?

খালামণি বকছে নাকি?

না। মামা আজ মাছ ধরতে যাবে না। তা ছাড়া কাল তো আমরা চলেই যাব।

তানভীরেরও মনটা খারাপ হলো। কী করা যায়, কী করা যায়... পেয়েছি একটা বুদ্ধি।

কী বুদ্ধি?

চল, আমরা বিলে যাই। বড় মামার নৌকায় নেটের জাল আছে। ওটা দিয়ে মাছ ধরব।

যে কথা সেই কাজ। দুই ভাই বিলে মাছ ধরতে গেল।

সারা বাড়ি খুঁজেও তানভীর, গল্পকে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে ছোট মামা-ই খুঁজে পেল। পশুর নদীর পাশের বিলে নেটজাল টানছে দুজন। গায়ে কাদা মেখে ভূত হয়েছে।

হায় রে একি অবস্থা ? এরা কি আমার ভাগনে?

দুটো হেসে কুটিকুটি হচ্ছে।

হ্যাঁ মামা। আমরা তোমার ভাগনে তানভীর ও গল্প। তুমি আমাদের চিনতে পারছ না?

আমার চিনে কাজ নেই। তোমাদের মায়েরা আসছে। মাইরের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে এখনি উঠে আস। গল্প বলল, মামা একটা মাছও পাইনি। একটা মাছ পেলেই উঠে আসব।

আচ্ছা, তোমরা মাছ ধরো। আমি গিয়ে তোমাদের মায়েদের পাঠাচ্ছি।

তানভীর বলল, না, না মামা। আমরা এখনি উঠে আসছি।

গল্পের মনটা খুব বিষণ্ণ। আজই চলে যেতে হবে তাদের। এত তাড়াতাড়ি ছুটিগুলো শেষ হয়ে গেল! সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাসে উঠল ওরা। গল্প মামার গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।

ছোট মামা তুমি আমাদের সঙ্গে চলো। তোমাকে আমি খুব মিস করব!

ছোট মামা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বিদায় নিলেন। তার চোখ দুটোও জল ছলছল করছে।

গল্পের কান্না যেন থামছেই না। কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে যাচ্ছে।

আম্মু আমি যাব না। আমি মামাবাড়ি থাকব, ছোট মামার সঙ্গে থাকব। আমাকে এখানকার স্কুলে ভর্তি করে দাও। আমি এখানে পড়তে চাই।

আব্বু-আম্মুসহ ছড়ারও খুব মন খারাপ। আম্মুর মনটা বেশ ভারাক্রান্ত, ছেলেকে সামাল দিতে পারছেন না। গল্প, আমার সোনাবাবা! এভাবে কাঁদতে হয় না। কিছুদিন পরে আমরা আবার আসব। গল্পের আব্বু ছেলের মাথাটা নিজের কাঁধে নিলেন। গল্পও মাথাটা এলিয়ে দিল। হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালেন ছোট মামাকে। ছোট মামাও ছলছল চোখে হাত নাড়ছেন! তাকিয়ে আছেন ভাগনের পানে- যতদূর চোখ যায়!

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close