জীবনযাপন ডেস্ক

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

শীতে শরীরের সুস্থতায় যা প্রয়োজন

শীত এলে অন্যান্য সময় থেকে সবারই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া-দাওয়া হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, পেটব্যথা ইত্যাদি। তাই শীতে কীভাবে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন, জেনে নিন প্রয়োজনীয় টিপস-

প্রতিদিন হাঁটুন : শীতের সময় সবার শরীর জুড়েই কিছুটা আলসেমি দেখা দেয়। কিন্তু ফিট থাকতে চাইলে আলসেমিকে বিদায় জানিয়ে রোজ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন সঠিক গতিতে হাঁটলে রক্তের চলমান ফ্যাট ধ্বংস হয়ে যায়। নিয়মিত হাঁটার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয় ও হার্ট ভালো থাকে।

প্রোটিনকে প্রাধান্য দিন : যেকোনো দাওয়াত বা অনুষ্ঠানে গেলে চেষ্টা করুন কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করে প্রোটিন বেশি করে খেতে। যেমন ভাত বা রাইসজাতীয় খাবার কম নিয়ে মাছ, মাংস, ডিম খেতে পারেন। প্রোটিনজাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে ও অনেকক্ষণ আমাদের পেটে ভরা অনুভূতি দেয়। প্রতিবেলার খাবারের সঙ্গে বেশি করে সালাদ খাওয়ার চেষ্টা করুন ও খেয়াল রাখুন আপনার খাবারে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যেমন টমেটো, লেবু, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। খাবারের পর এক বাটি টক দই খেতে পারেন। টক দই হজমের ক্ষমতা বাড়ায় ও ক্যালসিয়াম দেয়।

শাক-সবজি খান : যারা স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন বেছে নিতে চান, শীত তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হতে পারে। কারণ এ সময় বাজারে সাশ্রয়ী দামে প্রচুর তাজা শাকসবজি পাওয়া যায়। তাই আপনার খাবারের পাতে ভাতের তুলনায় বেশি শাকসবজি রাখুন। শাকসবজিতে ক্যালরি কম থাকে ও প্রচুর পুষ্টি ও ভিটামিন থাকে। যেমন শীতের সময় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুলকপি, ফুলকপিতে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা কোলেস্ট্রেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত রাখে।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন : গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খাবারের পনেরো মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করে তারা তুলনামূলকভাবে কম খায়। কারণ পানি পেট ভরিয়ে দিয়ে খিদা অনুভূতি অনেকটা কমিয়ে দেয়। তা ছাড়া শীতকালে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় সবার পানি কম পান করা হয়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। অনেকে মনে করেন, গ্রীষ্মকালে বেশি পানি পান করার প্রয়োজন হয়। আসলে তা নয়, বারো মাসই আমাদের শরীরের পানি প্রয়োজন।

ঘরের খাবার খান : যেকোনো দাওয়াতে যাওয়ার আগে পুরোপুরি খালি পেটে ক্ষুধা নিয়ে যাবেন না, এতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা হয়ে যাবে। তাই দাওয়াতে সবার আগে ঘরের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে যান, ফলে ক্ষুধা থাকবে না ও বাইরের খাবার কম খাওয়া হবে। বাইরের কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করলে চেষ্টা করুন, তা ঘরে তৈরি করে নিতে। কারণ বাইরের খাবারের অতিরিক্ত তেল মসলা ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close