আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

‘প্রাকৃতিকভাবেই শক্তি হারাবে’

চীনের উহানে আবির্ভূত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এইচ১এন১-এর মতো সময়ের ব্যবধানে প্রশমিত হতে পারে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০৯ সালে মেক্সিকোতে প্রথম শনাক্ত করা এ ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বের ১৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সোয়াইন ফ্লু শূকরের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে মানব মৃত্যুর কারণ বলে চিহ্নিত এই সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা। মেক্সিকোতে এটি প্রথম দেখা দেয়। এই ভাইরাস মূলত শূকরের শরীরে থাকে। ওই বছর শূকরের মাধ্যমে এটি মানবশরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোয়াইন ফ্লুর কারণ এইচ১এন১ ভাইরাস। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ নোভেনা হাসপাতালের একজন সংক্রমণ রোগবিশেষজ্ঞ লিঅং হোয়ে ন্যাম। তিনিও মনে করে প্রাকৃতিকভাবেই শক্তি হারাবে করোনাভাইরাস। মেক্সিকোর উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আপনি যদি এখন আবার মেক্সিকো যান, তাহলে দেখবেন সেই ভাইরাস এখনো রয়েছে কিন্তু আগের মতো প্রাণঘাতী নয়। এর কারণ হলো বছরের পর বছরের ব্যবধানে এটি তার শক্তি গুটিয়ে নিয়েছে। কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেবে।’

গত শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সে সিঙ্গাপুরের জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রী লরেন্স ওং বলেছেন, ‘এখন এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে, কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) থেকে ভিন্ন কিন্তু এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে এর সাদৃশ্য রয়েছে।’ তার মতে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পদ্ধতি সার্স থেকে ভিন্ন প্রকৃতির তবে এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ পদ্ধতির কাছাকাছি।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিসেসের (এনসিআইডি) বরাত দিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো খুব কম প্রকাশ পেলেও এটি এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ছোঁয়াচে। এটি সুয়াইন ফ্লুর মতো দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close