আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চাকরির প্রলোভনে ডেকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রেস্ট হাউসে ডেকে নিয়ে চারদিন ধরে আটকে রেখে ৪০ জন মিলে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক নারী। ২২ বছর বয়সী ওই নারী বিবাহিত। স্বামীকে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। শনিবার এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে ভারতের চন্ডিগড় থানার পুলিশ। গত শুক্রবার চ-িগড়ের মণিমাজরা পুলিশ স্টেশনে করা অভিযোগে ওই নারী জানান, তাকে চারদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই নারীর স্বামী সাংবাদিকদের জানান, পরিচিত এক ব্যক্তি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তার স্ত্রীকে হরিয়ানার মর্নি হিলসের কাছে কাইম্বওয়ালা গ্রামে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক মাদক সেবনের পর চারদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, ওই ব্যক্তিরা আমার স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে বলে, যেন এ ব্যাপারে কোনোকিছু আমাকে বলা না হয়। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার অভিযোগ না নেওয়ার অভিযোগে হরিয়ানার তিনজন পুলিশকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই নারী অভিযোগ করতে থানায় যাওয়ার পর অভিযোগ না নিয়ে তাকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গেস্ট হাউসের মালিক, ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই গেস্ট হাউসে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। গেস্ট হাউসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই নারীর স্বামীর দাবি, এক ব্যক্তি আমার স্ত্রীকে মাসিক ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার রুপিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। সেখানে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, তা আমরা জানতাম না। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১০ জন করে আমার স্ত্রীর ওপর বর্বরতা চালিয়েছে। পরে সে কোনোমতে আমাকে ফোন করতে পারে। ফোনে সে জানায়, খুব বিপদে আছে।
তিনি আরো বলেন, আমি গেস্ট হাউসের ম্যানেজারকে বলি, আমার স্ত্রীকে বের হতে দিতে। অন্যথায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করব। পরে আমার স্ত্রী বাড়িতে আসে। তারপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে যাই।
"