নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ এপ্রিল, ২০২৪

এলাচ লবঙ্গ কিশমিশ দারুচিনির দাম চড়া

নতুন করে দাম না বাড়লেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে কিশমিশ, দারুচিনি, বাদাম ও লবঙ্গ। তবে কয়েক মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি মসলার দাম কমেছে। অতীতের রেকর্ড ভেঙে ৬ থেকে ৭ মাস আগে জিরার দাম ওঠে কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকায়। আমদানি স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনকারী দেশের বাজার স্থিতিশীল হওয়ায় পণ্যটির দাম নেমে এসেছে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। জিরার পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজ, দেশি রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদসহ কয়েকটি মসলার দামও কমেছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, এখন বিশ্ববাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম কমে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ার কারণে দেশের বাজারে কমেছে দাম। রাজধানীর বড় দুই পাইকারি মসলার বাজার মৌলভীবাজার ও কারওয়ানবাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি জিরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, এলাচ মানভেদে ২ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৫০, লবঙ্গ ১ হাজার ৩৫০ এবং গোলমরিচ ৭৫০ থেকে ৭৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজার রামপুরা, বাড্ডা, জোয়ারসাহারায় দেখা গেছে, প্রতি কেজি জিরা ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ ও লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে পেঁয়াজ কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুন কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি রসুন কেজি ২২০ টাকায় ও আদা মানভেদে কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাড্ডার ইত্যাদি মসলা বিতানের মালিক আ. হালিম বলেন, গত ঈদে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হওয়া জিরার দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। লবঙ্গের দাম মাঝে বেড়ে গেলেও এখন আবার কমে গেছে। এলাচ ও দারুচিনির বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।’ বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন মসলার দাম কমার কারণে দেশের বাজারেও কমে গেছে। গত ৬ থেকে ৭ মাসের ব্যবধানে জিরার দাম অর্ধেকে নেমেছে। যদি এখন আগের ডলারের দামে জিরা আমদানি করা যেত তাহলে দেশের বাজারে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হতো। কয়েকদিন পর ভারত ও চীনের নতুন জিরা বাজারে এলে দাম আরো কমবে।

এদিকে অন্য বছরের তুলনায় সেমাইয়ের দাম না বাড়লেও সেমাই তৈরির বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তার মধ্যে চিনাবাদাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাজুবাদাম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০, কিশমিশ ৫৫০ থেকে ৭০০ ও আলুবোখারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের পাইকারি বিক্রেতা মোসলে উদ্দিন বলেন, গত এক মাসে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে কিশমিশের দাম। বাজারে বর্তমানে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২০ টাকায়। এছাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে পেস্তাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। ভালোমানের কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকায়। আলুবোখারা ৪৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। সেমাইয়ের দাম তেমন বাড়েনি। মানুষ আগের মতো সেমাই কেনেও না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close