জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আবু হোসাইন নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম মামলার ১৪ বছর পর এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল পিপি। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৯) ও ছেলে রাফিউল (৩২), কোকতারা গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন (৪৯), রুস্তম আলী ওরফে টুরার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৮) এবং ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৪)। তাদের মধ্যে আদালতে চারজন উপস্থিত ছিলেন। আমিনাকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামে আবু তাহের পুকুরপাড়ে খড় তুলছিলেন। সে সময় তাকে পূর্বশত্রুতার জেরে রব্বানী, আরিফুল, রাফিউল, রোস্তম আলী, মোস্তফা, সাইদার রহমান, আমিনা বেগম ও সাহিদা বেগম লাঠি এবং লোহার শাবল দিয়ে মারধর করে। এ সময় আবু হোসাইন এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখতে পান তার বাবাকে মারধরের দৃশ্য। বাবাকে রক্ষার্থে দৌড়ে এগিয়ে গেলে তাকেও মাথায় আঘাত করেন আসামিরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি হাসপাতালে নেন। পরে জয়পুরহাট ও বগুড়ার হাসপাতাল থেকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর আবু হোসাইনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আবু হোসাইনের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালতের বিচারক এ রায় দেন। মামলার সরকারপক্ষে আইনজীবী ছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও গোকুল চন্দ্র মণ্ডল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান ও হেনা হাবিব চপল।

"