নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিত্যপণ্য পরিবহনে ভাড়া নির্ধারণ হচ্ছে

১ মার্চ থেকে ৩৩৩ হটলাইন

রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যতালিকা পেলেই ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। পাশাপাশি কোনো ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে ভোক্তারা হটলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। আগামী ১ মার্চ থেকে চালু হবে ৩৩৩ হটলাইন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, অ্যাসেন্সিয়াল কমোডিটিতে দুটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া আছে। একটি হলো তেল, আরেকটি হলো চিনি। আমাদের অগ্রাধিকার তেল। তেলের দাম আমরা আগে সমন্বয় করব। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে খেজুর ও অন্যান্য পণ্যে ইন্ডিকেটিভ প্রাইস সমন্বয় করা হবে। চিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এবং কৃষি পণ্যের জন্য কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসতে হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, রোজার মধ্যে যাতে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য সরবরাহ ও দাম নিয়ে যাতে দ্বিধা না থাকে। রমজান শুরু হওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে আমরা যে শ্রম দিচ্ছি, সেটা বাস্তবায়ন হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি, ভারত থেকে আমাদের পেঁয়াজ ও চিনি আসবে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়েছিলেন, উনিও একইভাবে আশ্বস্ত হয়েছেন। আমরা আশা করি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি সুখবর পাব এবং কী প্রক্রিয়ায় কত তারিখ থেকে আমদানি শুরু করব, সেটা অনুমোদন পেলেই জানাতে পারব। বাংলাদেশ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ টন চিনি আমদানির চাহিদা দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার টন চিনির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, রোজার আগে চাহিদার পুরো পরিমাণ পণ্য আমদানি সম্ভব হবে। বিকল্প উৎসের কাছেও আমরা চেষ্টা করছি। গত বৃহস্পতিবার আমি চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও বলেছেন, পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। নেপাল ও মিয়ানমার থেকে কিছু পণ্য আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় জানান টিটু।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রভাব না পড়লেও বাজার মনিটরিংয়ের আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, চালের দাম খাত ভেদে ২ থেকে ৫ টাকা কমেছে। চালের সরবরাহ কোথাও অপ্রতুল নেই। কৃষকরা এখন যে দাম পাচ্ছে, পেঁয়াজ মাঠে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঢাকায় কিন্তু ১২০ টাকার বেশি নেই। আগে যে রকম ৫০ আর ১০০ টাকা থাকত, এ পার্থক্য কিন্তু কমে এসেছে। আমাদের কাটা (মুড়িকাটা) পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষ। প্রতিমন্ত্রী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। বাসে যেমন ভাড়া নির্ধারিত আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে তাদের জন্য একটা নির্ধারিত ট্যারিফ বিভিন্ন জেলা থেকে আমরা ঠিক করে দেব।

গত ১৫ দিন আগে ডিম ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, রবিবার ১৩৫ টাকা হয়েছে। ডিমের আবার সিন্ডিকেট হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো সিন্ডিকেট নেই। ডিমের দাম কোথাও ১২ টাকার বেশি হলে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। ডিম উৎপাদনকারীরা আমাদের বলেন, রমজান পর্যন্ত ১২ টাকার উপরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দুয়েকজন সুযোগসন্ধানী থাকবে, এটা সাধারণভাবে না। উৎপাদকের মাঝখানে কয়েকটা হাত বদল হয়, ওইখানে হয়তো দুয়েকটা বাজারে, দুয়েকটা জায়গায় হতে পারে, কিন্তু উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে এটা ঠিক আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close