সাংবাদিকতার নামে যারা অপসাংবাদিকতা করে, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে একমত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, হুট করে বা কম সময়ের নোটিসে কোনো সংবাদকর্মীকে প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই করতে পারবে না। কোনো সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে তিন মাস আগে নোটিস দিতে হবে।

গতকাল বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যকে দমন করতে গিয়ে সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে চায় না, এটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য। ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে একটি জবাবদিহির মধ্যে আনা প্রয়োজন, সাংবাদিকদের এমন দাবিরও সঙ্গে আমিও একমত পোষণ করছি।

সারা দেশে কেবল নেটওয়ার্কের কাজ শিগগিরই ডিজিটালাইজ করার কাজ শুরু হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড ছাড়া কেউ টেলিভিশন চালাতে পারবে না। এমনটা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, মন চাইলে চাকরি ছেড়ে দেবেন, আবার মন চাইল চাকরি থেকে বের করে দেবেন, সংবাদমাধ্যমে এটা করা যাবে না। মালিকপক্ষ, কর্মরত সাংবাদিক চাইলে অভিযোগ করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কার্যকর আইন করা হবে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, কর্মরতদের সুরক্ষায় আইনটি যথাযথভাবে কাজে লাগানো হবে।

ক্লিনফিড ছাড়া অনেকে যারা ব্যবসা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, যে কেউ যেকোনো কনটেন্ট বানাতে পারেন না, দেশের প্রচলিত আইন সমর্থন করে না।

তথ্যমন্ত্রী জানান, গণমাধ্যমকর্মী আইনটি সংসদীয় কমিটিতে আছে। সবার মতামত নিয়ে আইনটি দ্রুত পাসের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

"