নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিজিপিসহ ৩৩০ মিয়ানমার নাগরিক ফেরত যাবে আজ

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ফেরত পাঠানো হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তাটি পাঠিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের ইনানীর নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। সংঘাতকালে মিয়ানমার সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তারা বর্তমানে বিজিবির হেফাজতে আছেন। গতকাল সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ওপার দিয়ে থেকে থেমে গোলাগুলি শব্দ আসছে। গোলাগুলি পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ায় সীমান্ত এলাকার লোকজনের আতঙ্কে এখনো কাটেনি। তবে আগের চেয়ে গোলাগুলির শব্দ কম আসায় লোকজন স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততায় ফেরার চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জমিতে লোকজনকে কাজ করতে দেখা গেছে।

এদিকে রাখাইনের একটি শহর নিজেদের দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এরপরই আশপাশের গ্রামে তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়। গত ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে আসে মিয়ানমার সেনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য। তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে দশ দিন পর নিজ দেশে ফিরে যাবে তারা। প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন উখিয়া (কক্সবাজার) ও নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close