নির্ধারিত কোটা পূরণ না হওয়ায় হজ নিবন্ধনের সময় চতুর্থ দফায় ২১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। গত ১৬ মার্চ এ সময় বাড়িয়ে বলা হয়, নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। কিন্তু শেষ সময়েও হজ নিবন্ধনে তেমন সাড়া মেলেনি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) নিবন্ধনের সময় শেষ হবে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজ নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৭৫৫ জন। হজ চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সে হিসেবে ফাঁকা রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি কোটা। এক দিনের মধ্যে এতসংখ্যক হজ নিবন্ধন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মতপ্রকাশ করেছেন হজ বিভাগের কর্মকর্তারা।

গত ১৬ মার্চ চতুর্থ দফা সময় বৃদ্ধির পর চার দিনে নিবন্ধন করেছেন ৯৩৩ জন। ওইদিন সময় বাড়ানোর আগ পর্যন্ত নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৮২২। হজ নিবন্ধন পোর্টাল অনুযায়ী, নিবন্ধনের বাকি ১৫ হাজার ৪৩৩ জনের মধ্যে সরকারিতে ৫ হাজার ২৮০, আর বেসরকারিতে ১০ হাজার ১৬৩ জন।

কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খচর বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনের ভাটা লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারি না। গত বৃহস্পতিবার শেষ দিন ৭ হাজারের বেশি নিবন্ধন করেছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, হজযাত্রীদের আশা ছিল হাইকোর্ট, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহলের চাপে বিমানভাড়া হয়তো কমবে। কিন্তু রবিবার বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিমানের ভাড়া কমানো বা সমন্বয় করার কোনো সুযোগ নেই।

নিবন্ধনের সময় বাড়ানো সম্ভব হবে না জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবে বাড়িভাড়া করতে হবে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের ভিসা, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।

তিনি বলেন, আগের বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি একদম শেষ সময়ে বেশি নিবন্ধন করেন হজযাত্রীরা। এজেন্সিগুলো অপেক্ষায় থাকে শেষ সময় সর্বোচ্চ বাড়িভাড়ার রেট দেখে নিবন্ধন করতে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হজ নিবন্ধন শুরু হয়। নির্ধারিত কোটা পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ দফা নিবন্ধন চলছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক ২ লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ৮ হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

"