ময়মনসিংহ (মহানগর) প্রতিনিধি

  ২২ মে, ২০২২

রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে মাদক ব্যবসা

ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণি মাদকদ্রব্যসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। যাদের মধ্যে দুই নারীসহ পাঁচজনই রোহিঙ্গা।

গ্রেপ্তাররা হলো চক্রের মূল হোতা নেত্রকোনা সদরের ইলিয়াস কাদের বাবুল (৪৩), ময়মনসিংহ নগরীর চরকালীবাড়ী এলাকার নাজমুল হুদা (২৬), রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ারা আক্তার রোজিনা (২৬), খালেদা আক্তার (৩৮), মো. শাহেদ (২২), নজরুল ইসলাম (২৯) ও মো. তৈয়ব (২০)।

গতকাল শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ইসলাম। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর চরকালীবাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি ভাড়া বাসার দুটি কক্ষ থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবা, ৩৪ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক বিক্রীত এক লাখ টাকাসহ সাতজনকে আটক করা হয়। পরে আটকদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গ্রেপ্তাররা টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে ময়মনসিংহে মজুদ করে বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করত।

রোহিঙ্গা নারী রোজিনাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছে এ চক্রের মূল হোতা ইলিয়াস কাদের বাবুল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রায় বছরখানেক আগে রোজিনাকে বিয়ে করে ময়মনসিংহের চর কালিবাড়ি এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে বাবুল। এরপরই সে নাম লেখায় মাদক কারবারে, রোজিনার মাধ্যমেই তৈরি করে একটি চক্র। সেই চক্রের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ইয়াবা আনা হতো ময়মনসিংহে। সেগুলো বাসায় মজুদ করে দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক কারবারি ও নেশাখোরদের কাছে বিক্রি করত এই দুষ্কৃতিরা।

এরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে স্থানীয়ভাবে কোনো মাদক কারবারির কাছে ইয়াবা ও বিদেশি মদ বিক্রি করত না। নজরদারি ও গ্রেপ্তার এড়াতে এটিই তার কৌশল ছিল বলে মনে করেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক শওকত ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে আমরা চেষ্টা করে যাব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close