বিনোদন প্রতিবেদক

  ১৪ মে, ২০২২

শিল্পী-সাংবাদিক মায়েদের সম্মাননা

গত ৮ মে ছিল ‘বিশ্ব মা দিবস’। আর সেদিনই যাত্রা শুরু হলো ‘মা পদক’-এর। রাজধানীর একটি হোটেলে এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের একক উদ্যোগে ‘আলী-রুপা ফাউন্ডেশন’-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘স্বপ্নধরা’ নিবেদিত ‘মা পদক’ ২০২২-এর যাত্রা শুরু হলো। সহযোগিতায় ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর ফাউন্ডেশন ও জেড অ্যান্ড জেড অ্যাসোসিয়েটস। প্রথমবার আয়োজিত এই সম্মাননায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লা। ‘মা পদক’-এ ভূষিত হয়েছেন ‘আম্মাজান’খ্যাত জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা শবনম, নায়িকা শাবনাজ ও অভিনেত্রী মৌয়ের মা আঞ্জুমান নাহার, অভিনেত্রী তারিনের মা, নায়িকা পূর্ণিমার মা সুফিয়া বেগম, অনুষ্ঠান প্রযোজক অনন্যা রুমার মা রহিমা বেগম মিতু, অভিনেতা সজলের মা কানিজ ফাতেমা, গায়িকা কণার মা লুৎফুন নাহার, অভিনেত্রী রুনা খানের মা আনোয়ারা খান, উপস্থাপিকা শান্তা জাহানের মা জাহানারা বেগম, গায়ক প্রতীক হাসান-প্রীতম হাসানের মা ফাতেমা হাসান পলাশ, অভিনেত্রী তানজিন তিশার মা সালমা বেগম, রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের মা ও দেশের এ প্রজন্মের নন্দিত বিনোদন সাংবাদিক এফ আই দীপুর মা আয়েশয়া আক্তার, নিপু বড়ুয়ার মা রানু বড়ুয়া, মীর সামীর মা গুলশান আরা শোভন ও লিমন আহমেদের মা ফাতেমা আক্তার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংবাদিক রকিব হোসেন। শান্তা জাহানের অনবদ্য উপস্থাপনায় রুনা লায়লার হাত থেকে প্রত্যেক শিল্পী, সাংবাদিক ‘মা পদক’ গ্রহণ করাটাই যেন জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে পদক গ্রহণের পর প্রত্যেক সন্তান যখন মায়েদের নিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তখন প্রায় প্রত্যেক সন্তানই কেঁদেছেন। যে কারণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অথিথি রুনা লায়লা তার বক্তব্যে বলেন, ‘সব মায়েদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। এই ধরনের আবেগময় পরিবেশের মুখোমুখি আমিও কোনো দিন হইনি। আমার আজকের অবস্থানের নেপথ্যে আমার মায়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বড়। নিঃসন্দেহে অভির এই উদ্যোগ ভীষণ

প্রশংসনীয়। মায়েদের মা পদকের মধ্য দিয়ে যে সম্মাননা জানাল তা সত্যিই ভালো লেগেছে আমার কাছে। শবনম আপা সাধারণত কোনো অনুষ্ঠানে যান না। তিনিও এখানে সম্মানীত হয়েছেন বিধায় আরো বেশি ভালো লেগেছে। মা পদকের আরো সাফল্য কামনা করি।’

অভি মঈনুদ্দীন বলেন, ‘আমার এই স্বপ্ন পূরণে রুনা লায়লা আপা, স্বপ্নধরার কর্ণধার মাসুদ ভাই, সব শিল্পী, সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর ফাউন্ডেশন, জেড অ্যান্ড জেড অ্যাসোসিয়েটস এগিয়ে এসেছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ প্রতি বছরই ‘মা পদক’ বিশ্ব মা দিবসে ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close