গ্রামের রান্নাঘরে মাটির চুলায় রাঁধছেন জায়েদ খান, মেঠোপথ ধরে কাঁধে লাউ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন জায়েদ খান, মৌসুমীকে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছেন জায়েদ খান, নায়িকাকে পাঁজা কোলে করে দৌড়াচ্ছেন জায়েদ খান, পরনে গেঞ্জি ও লুঙ্গি, গলায় ঝোলানো গামছা- মাসখানেক ধরে শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি জায়েদ খানের এমন দৃশ্যের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চলচ্চিত্রবিষয়ক গ্রুপগুলোতে নিয়মিত পোস্ট হচ্ছে। আর ট্রোলের শিকার হচ্ছেন এ নায়ক।

গতকাল মঙ্গলবার জায়েদকে দেখা গেল এফডিসিতে সাপের খেলা দেখাতে। সেই ছবিও রীতিমতো ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। আর শুরু হয় ট্রোল। যে ছবিগুলো ছড়িয়েছে সেগুলো ‘সোনার চর’ নামের একটি ছবির স্থিরচিত্র। ছবিগুলো দেখেই চলচ্চিত্র দর্শকরা গল্পটা আঁচ করতে পারছেন। তাই ২০২১ সালে এমন ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাহবা দিচ্ছেন জায়েদকে।

বাংলা সিনেমায় সাপকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে বহু সিনেমা। যেগুলোর প্রায় বেশির ভাগ পেয়েছে সুপারহিটের তকমা। তবে সাম্প্রতিক সাপ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। অথচ এই সময়ের একটি নতুন সিনেমার শুটিংয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের হাতে দেখা গেল জলজ্যান্ত এক সাপ। এমন দুর্দিনে জায়েদ খান এগিয়ে এসেছে সাপের ছবিতে অভিনয় করতে। বাহবা পাচ্ছেন সেজন্যই। জায়েদ খান জানালেন, ‘সোনার চর’ নামের নতুন একটি সিনেমার শুটিংয়ের দৃশ্য এটি। তবে এই সিনেমা সাপ ঘিরে নয়। বরং একটি গানের দৃশ্যে প্রাসঙ্গিক কারণে সাপের প্রয়োজন ছিল।

এদিকে সাপকে ধরার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে জায়েদ বলেন, ‘ভয়ংকর অনুভূতি। সাপ ধরতে হবে, এটা শুনেই ভয়ে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম প্রথমে। পরে সাপুড়ে অভয় দিলেন বলেই ঠিকঠাক শুটিং শেষ করতে পেরেছি। এটা একেবারে অরিজিনাল সাপ। সাভার থেকে বেদে নিয়ে আসা হয়েছে এফডিসিতে। তারাই দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রথমত, আমি ধরতেই চাইনি। প্রচণ্ড ভয় নিয়ে ধরেছি, সাপের শরীর একেবারে ঠা-া। ধরার পর গা শিরশির করে। তবে শেষ পর্যন্ত এই অংশটা ঠিকঠাক হয়েছে, এতেই সন্তুষ্ট সবাই।’

গাজীপুরের হোতাপাড়ায় জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় ‘সোনার চর’ সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল গত মাসে। জায়েদ জানান, বেশির ভাগ অংশের শুটিং এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। গতকাল এফডিসিতে চলে গানের শুটিং। রাতের মধ্যে যা শেষ হয়ে যায়। এরপর আগামী মাসে ভোলার দিকে আউটডোরে বাকি অংশের শুটিং শেষ হবে।

"