বিনোদন প্রতিবেদক
বিটিভির ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’তে আবুল হায়াত
গতকাল থেকে আজ টানা দুদিন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজনায় একটি খ- নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত। সোহরাব হোসেনের মূল ভাবনায় ফজলুল করিমের রচনায় তিনি ‘অনাকাক্সিক্ষত’ শিরোনামের নাটকে অভিনয় করছেন রায়হান চরিত্রে। যিনি মূলত নাটকের নায়িকার দাদা। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর আবুল হায়াত বেশ সচেতনভাবেই নাটকের কাজ করছেন। যে কারণে বেছে বেছে একটু বুঝে-শুনেই কাজ করছেন তিনি। আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি যেসব নাটকে কাজ করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। তাছাড়া বিটিভি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গেই সেখানে সব নিয়মকানুন মেনে শুটিং হয়। অনাকাক্সিক্ষত নাটকটির গল্প পারিবারিক। আমার কাছে গল্পটা ভালো লেগেছে। ঠিকঠাকমতো নাটকটি নির্মিত হলে দর্শকেরও ভালো লাগতে পারে বলে আমি আশা রাখছি।’
এরই মধ্যে আবুল হায়াত মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় চালডাল ডটকমের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানান, শিগগিরই বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি প্রয়াত গুণী পরিচালক ফজলুল হকের পরিচালনায় নির্মিত হওয়া একটি ধারাবাহিকের কাজ আবারও শুরু করতে যাচ্ছেন। অন্য একজন পরিচালক নাটকটি এখন নির্মাণ করবেন বলে জানান আবুল হায়াত। এদিকে গেল সেপ্টেম্বরে ৭৮-এ পা রেখেছেন আবুল হায়াত। করোনা মহামারির মধ্যে নিজের পরিবারের সঙ্গেই জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি। গত ঈদে রুবেল হাসান পরিচালিত নানাবাড়ি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। নিজে নির্মাণ করেছিলেন ‘মেঘ ময়ূরীর গল্প’ নামের এক নাটক। আবুল হায়াতের ৭৫তম জন্মদিনে প্রকাশিত হয়েছিল দেশের ১০০ বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখা নিয়ে ‘সার্থক জনম হে তোমার শিল্পী সুনিপুণ’ বইটি।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় আবুল হায়াত প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। নাগরিক নাট্য সম্প্র্রদায়ের হয়ে মঞ্চে তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’। টিভিতে তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘ইডিপাস’। মঞ্চে তার নির্দেশিত প্রথম নাটক ‘আগন্তুক’ এবং টিভিতে ‘হারজিৎ’। প্রথম অভিনীত সিনেমা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।
"