বিনোদন প্রতিবেদক

  ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯

‘সিনেমা আমার প্রাণ রাজনীতি আমার অন্তর,

রাজনীতি আমার অন্তর, সিনেমা আমার প্রাণ। দুটোর কোনোটাকেই আমি এড়াতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গত রোববার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত বিনোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় বিনোদন সাংবাদিকদের ভূমিকা উল্লেখ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঢাকাই ছবির মিঞা ভাইখ্যাত গুণী এই চিত্রনায়ক।

এ সময় সিনেমার জন্য কথা বলার বিষয়টি আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে না উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন বা করছেন সিনেমার জন্য আমি কী করবো? এ ধরনের প্রশ্ন করা ঠিক না। একজন এমপি কখনো শুধুমাত্র সিনেমার উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত হন না। তাকে এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করতে হয়। আর আমি যেহেতু সিনেমার মানুষ, সুযোগ পেলে অবশ্যই সিনেমার জন্য কথা বলবো। বিষয়টি আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে না। আমি নিজেই সেই সুযোগ কাজে লাগাবো।

সিনেমার বর্তমান নানামুখী সংকট সমাধানে এই অভিনেতা তার মত প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সরকার এককভাবে চলচ্চিত্রে উন্নয়ন করতে পারবে না। এর জন্য আমাদের এক থাকার বিকল্প নেই। আমরা সবাই মাল্টিপ্লেক্স, সিনেপ্লেক্স চাই। এখনকার পরিবেশে দর্শক হলে আনতে হলে এটা করতেই হবে। প্রযোজক যদি সিনেমা বানিয়ে টাকা ফেরত না পান তবে তিনি থাকবেন না। আর প্রযোজক না থাকলে সিনেমাও শেষ। প্রযোজক বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে সবার আগে। ভালো গল্পের দরকার, টেকনোলজির উন্নয়ন দরকার। ভালোবাসে সিনেমা দেখানোর পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার।

তিনি আরো বলেন, নিজের প্রযোজিত সিনেমা দর্শকদের দেখানোর সুযোগই পাচ্ছেন না প্রযোজকরা। হলগুলো কুক্ষিগত হয়ে আছে নানা কৌশলে। সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেউ কেউ নিজস্ব অর্থায়নে প্রজেক্টর এনেছেন। সেগুলোকে সর্বজনীন ভাবনায় ব্যবহার করতে হবে।

সিনেমা হলের সার্ভার সিস্টেম নিয়ে ফারুক বলেন, এটি খুবই ব্যয়বহুল একটি ব্যাপার। তা বাস্তবায়নে অনেক টাকা দরকার। সরকারকে এই বিষয়ে দায় দেওয়া যায় না। আমাদের এখানকার প্রেক্ষাপটে সরকার এসব টেকনোলজি সম্পর্কে খুব একটা জানেও না। যারা সিনেমার মানুষ, তাদের এটা নিয়ে কথা বলতে হবে। সোচ্চার হতে হবে। ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করতে হবে সিনেমার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে। যখন একটা জায়গা তৈরি হবে তখন সরকারও সাহায্য করতে উৎসাহী হবে।

নিজের নির্বাচনী এলাকার কথা উল্লেখ করে ফারুক বলেন, আগে মনে করতাম গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, ভাষানটেক এলাকায় বেশি কাজ করা লাগবে না। আমি নিজের এলাকা ঘুরেছি। পায়ে হেঁটে নিজ এলাকার মানুষের কষ্ট দেখেছি, তাদের জন্য কাজ করতে চাই। শুধু সিনেমার মানুষ হিসেবে আমি সংসদে যাইনি। রাজনীতির মানুষ হিসেবে সংসদে গেছি। দল থেকে আমাকে দলের ও দেশের কাজ করার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাজ করতেই এমপি হয়েছি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য কাজ করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close