ভোলা প্রতিনিধি

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভোলায় নির্বাচনী মাঠে ১০ হেভিওয়েট প্রার্থী

ভোলায় নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় ১০ হেভিওয়েট প্রার্থী। সাধারন মানুষ বলছে লড়াইটা জমবে ভালো। ভোলা-১ আসনে আ.লীগ প্রার্থী হচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আসনে পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

গত ১০ বছরে তারা রাজনীতির মাঠে ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন। এ সময়ে বিএনপির ৪ জন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিকে এলাকার কাছেও দেখা যায়নি। কালেভদ্রে কেউ এলেও যাননি নির্বাচনী এলাকায় খোজনেননি মানুষের। তারা মাঠের রাজনীতির কাজ সেরেছেন এসি ড্রয়িংরুমে। তাদের মধ্যে ভোলা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম রয়েছেন। ২০১০ সালের উপনির্বাচনের পর তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।

বিএনপি সূত্রে জানাগেছে, ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত দিবসে বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এলাকায় গণসংযোগে মাঠে নামবেন। এজন্য তিনি প্র¯ুÍতি নিচ্ছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম তার ব্যারিস্টার পুত্র মারুফ আকাশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং অফিসার কার্যালয়েও তাকে দেখা গেছে আচরণবিধি ভেঙে বিশাল বহর নিয়ে অবস্থান করতে। এলাকায় বিশাল শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন ভোলা-৪ আসনের প্রার্থী সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বিএনপির অপর প্রার্থী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নও মাঠে অবস্থান করছেন।

তবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া থেকে শুরু করে বাছাইকালেও উপস্থিত ছিলেন না আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও তার মা সাবেক মন্ত্রী নাজিউর রহমানের স্ত্রী রেবা রহমান। তারা এবার ভোলা-১ আসনে বিজেপি থেকে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন। তবে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে তারা উপস্থিত না থাকলেও পার্থর ছোট ভাইসহ দলের শীর্ষ নেতারা কয়েকজন আইনজীবীকে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অবস্থান করেন।

বিজেপির দলীয় অফিসও এখন চাঙ্গা, দলীয় নেতা কর্মীদের পদচারনায়। তবে আন্দালিব রহমান শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবারও নির্বাচন করবেন এমনটা জানান দলের সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ। ফলে নির্বাচন জমে উঠেছে বলে মনে করছেন সাধারন মানুষ।

অপরদিকে ভোলা-১ আসনে পৌর মেয়র জেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় কেন্দ্র কমিটির বৈঠক করে বেড়াচ্ছেন। এর আগে সদরের এ আসনে ১১৩টি কেন্দ্র কমিটি গঠন করার কাজ শেষ করায় নির্বাচনী মাঠে আ.লীগ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলেও মনে করেন জেলা সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু। ভোলা-২ আসনের প্রার্থী আলী আজম মুকুল জানান, শক্তিশালী বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচন করতে হবে। এমনটা মাথায় রেখেই তিনি গত কয়েক বছর তার দল আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close