ড. অরুণ কুমার গোস্বামী

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিশ্লেষণ

জ্যাঁ জ্যাক রুশোর ইচ্ছায় আ.লীগের সফলতা

বিশেষত ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, তার ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ফরাসি রাষ্ট্রচিন্তাবিদ জ্যাঁ জ্যাক রুশোর ‘সাধারণ ইচ্ছা’র আলোকে আওয়ামী লীগের এই সফলতা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কোনো কোনো বিশ্লেষকের মতে, এই পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে প্রশ্নের উদয় হতে পারে। আর তা অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক যা তা হচ্ছে বাস্তবতাণ্ডবিবর্জিত কোনো কোনো বিশ্লেষণের দৌরাত্ম্য! এ ধরনের বিশ্লেষকদের মাথায় থাকে যেকোনো উপায়ে শুধুই ‘ক্ষমতা’, জনগণের কল্যাণ কিংবা দেশের উন্নয়ন এদের বিবেচ্য বিষয় নয়। তারা এটি ভুলেই যান অথবা স্বীকার করতে রাজি নয় যে, জনগণের স্বার্থ তথা কল্যাণের জন্যই রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। বাংলাদেশও স্বাধীন হয়েছে দেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে। সেসব কিছু বিবেচনার ধারে-কাছে না গিয়ে বিএনপি কত বছর ধরে ক্ষমতায় নেই এই দুঃখ ও দুশ্চিন্তায় দেশের একজন খ্যাতিমান ‘লেখক ও গবেষক’ ‘হরতাল-অবরোধের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে’ শিরোনামে একটি কলাম লিখেছেন, যা বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় বাংলা দৈনিকে গত ২১ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছে! এই লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে লেখক বিএনপিকে কৌশল বদলের উপদেশ দিচ্ছেন। এই উপদেশ কি ‘হরতাল-অবরোধ’-এর পথ পরিহার করে সরাসরি ‘জ্বালাও-পোড়াও’ নাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে কি না তা অবশ্য স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না! বিএনপি দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের নামে অবৈধ সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর যা করেছে তা দেশের জন্য শুধু ক্ষতি বয়ে এনেছে! অনেক উদাহরণের মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখ করা এখানে যুক্তিসংগত। নির্বাচিত সরকারপ্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশের প্রথম সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জন্য ইনডেমনিটি আইন পাস করা, বিচারপতি আবু সাদত মোহাম্মদ সায়েমকে জিয়াউর রহমান কর্তৃক পিস্তলের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা, অবৈধ উপায়ে জিয়াউর রহমান কর্তৃক ক্ষমতা দখল, ভোটারবিহীন রেফারেন্ডাম, সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, পবিত্র সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মের প্রাধান্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করা, বিনা বিচারে সেনাবাহিনীর অসংখ্য সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিএনপি সৃষ্টি করা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দেওয়া, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া- এসব জিয়াউর রহমানের দেশবিরোধী কুকীর্তির মধ্যে কয়েকটি মাত্র। অন্যপক্ষে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া কর্তৃক কৃত্রিমভাবে জন্মদিন পালন করা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভায় আর্জেস গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৫০০-এর বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেওয়া, প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের বিদ্রোহীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এমন সব অস্ত্রের ১০ ট্রাক চোরাচালান পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে সরকারের সমান্তরাল আর একটি সরকার চালানো প্রভৃতি খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে করা কুকীর্তির মধ্যে কয়েকটি মাত্র। অথচ বিএনপির এসব কুকীর্তি আলোচিত এই লেখক-গবেষকের চোখে কখনো পড়েনি! আধুনিক যুগে স্বল্পোন্নত ও দরিদ্র দুটি দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের পর্যায়ে নেওয়ার জন্য বিখ্যাত দুজন সরকারপ্রধান মাহাথির মোহাম্মদ এবং লি কুয়ান ইউর নাম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ না করে তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবকে সর্বাধিককাল অধিষ্ঠিত মুঘল সম্রাট হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে এর তুলনা করেছেন। অথচ ইতিহাস বলছে, মুঘল সম্রাটদের মধ্যে আকবরই সর্বাধিককাল ক্ষমতায় ছিলেন, আওরঙ্গজেব নয়! মুঘল সম্রাট আকবর ক্ষমতায় ছিলেন ৪৯ বছর ৮ মাস ১৩ দিন। অন্যপক্ষে, আওরঙ্গজেব ৪৮ বছর ৭ মাস ৪ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। যার মানে দাঁড়াচ্ছে সম্রাট আকবর, আওরঙ্গজেবের তুলনায় ১ বছর বেশি ক্ষমতায় ছিলেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনায়, বর্তমানে উন্নত গণতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর আদলে ‘কল্যাণমূলক’ কাজের উদাহরণ না টেনে শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য ওইসব দেশের ‘নির্বাচনের’ উদাহরণ বিবেচনায় নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকার ও বাংলাদেশস্থ তাদের রাষ্ট্রদূতগণ, যা কোনো বিচারেই যুক্তিযুক্ত নয়। বাংলাদেশের সমাজ, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা, জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ‘নির্বাচন’ প্রসঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে লি কুয়ান ইউর সিঙ্গাপুর ও মাহাথির মোহাম্মদের মালয়েশিয়ার উদাহরণ বিবেচনা করা। আর এ ক্ষেত্রে, জ্যাঁ জ্যাক রুশোর ‘সাধারণ ইচ্ছা’ তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা অনেকাংশেই যুক্তিযুক্ত।

লি কুয়ান ইউ (১৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৩-২৩ মার্চ ২০১৫) ১৯৫৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৩১ বছর এবং এ ছাড়া ১৯৫৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত পিপলস অ্যাকশন পার্টির মহাসচিব ছিলেন। এই সময়কালের মধ্যে তিনি একটি হতদরিদ্র সিঙ্গাপুরকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর মাহাথির বিন মোহাম্মদ (জন্ম ১০ জুলাই, ১৯২৫) মালয়েশিয়ার রাজনীতিবিদ যিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (১৯৮১-২০০৩; ২০১৮-২০) অর্থাৎ ২৪ বছর। এ সময়কালের মধ্যে স্বল্পোন্নত মালয়েশিয়াকে একটি শিল্পোন্নত দেশে রূপান্তর করেছেন। যে বিশ্লেষক যাই বলুক, জ্যাঁ জ্যাক রুশোর ‘সাধারণ ইচ্ছা’র প্রতিফলন আমরা লি কুয়ান ইউ এবং মাহাথির মোহাম্মদের সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় দেখতে পাই। আসলে ইউরোপ আমেরিকার উন্নয়ন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার উদাহরণ অনুসরণ করে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল মর্যাদায় উন্নীত একটি দেশকে উন্নতসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব নয়! এ ক্ষেত্রে লি কুয়ান ইউ এবং মাহাথির মোহাম্মদের উদাহরণ গ্রহণ করা প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নতসমৃদ্ধ করার যে কর্মপরিকল্পনা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গ্রহণ করেছে এবং সে অনুযায়ী ইতিমধ্যেই সফলতার সঙ্গে দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কী? রুশোর সাধারণ ইচ্ছা তত্ত্বের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত সম্পাদিত কর্মকাণ্ড তথা সাফল্য বিবেচনা করা এ ক্ষেত্রে বাস্তবতার কারণেই যুক্তিসংগত। রুশোর মতানুসারে ‘সাধারণ ইচ্ছা’ সমাজের সবার ব্যক্তিগত ইচ্ছার যোগফল নয়; এ হলো জনগণের কল্যাণকামী ইচ্ছা বা প্রকৃত ইচ্ছার সমষ্টিবিশেষ। অর্থাৎ সাধারণ ইচ্ছা হলো জনসাধারণের কল্যাণকামী ইচ্ছা। তাই এই ইচ্ছা সমাজের সবার ব্যক্তিগত ইচ্ছার যোগফল হতে পারে না। আর যেহেতু সবার ব্যক্তিগত ইচ্ছার যোগফল সাধারণ ইচ্ছা হতে পারে না তাই বিষয়টি বাংলাদেশ এবং অন্য যেকোনো রাষ্ট্রের নির্বাচিত সরকারের কাজে কর্মে উপস্থিত থাকছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বাস্তব ঘটনার ইতিহাসের ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবে এ কথা বলা সংগত যে, ‘সাধারণ ইচ্ছা’ তত্ত্বসহ সামাজিক চুক্তিতে জ্যাঁ জ্যাক রুশোর ধারণাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ও মানুষের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা থাকবে এমন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানেও এসব বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছিল। সুনির্দিষ্টভাবে একটি কল্যাণরাষ্ট্রের ধারণা বঙ্গবন্ধুর অভিব্যক্তিতে এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে সংযোজিত হয়েছে। এভাবে রুশোর ‘সাধারণ ইচ্ছার’ প্রতিফলন আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত সংবিধানে দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লিখিত নীতি অনুসারে জনকল্যাণ ও দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যে কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছেন তার কারণেই তো বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল এবং সেখান থেকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়ন; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন; ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি; ২১০০ সালে বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। সড়ক, রেল ও নৌপথের উন্নয়ন সাধন, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন, দারিদ্র্যদূরীকরণ, শিক্ষার বিস্তার ও গুণগত মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন, দুর্নীতি নির্মূলকরণ, যুব উন্নয়ন এবং বেকারত্ব দূরীকরণ প্রভৃতি সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার। অতএব এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত ও সম্পন্নকৃত কর্মকাণ্ডের ফলে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রুশোর কল্যাণকামী ‘সাধারণ ইচ্ছা’র প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। একই সঙ্গে উন্নয়ন অভিমুখে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ এবং মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন সরকারের সফলতার সঙ্গে তুলনা করাই যুক্তিসংগত। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের জয় ও সরকারের ধারাবাহিকতা জনগণ আশা করে।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close