reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ মার্চ, ২০২৩

রোজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা হোক

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বাস্তবায়ন হয়েছে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ’। দেশের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। নেই লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ সেই যন্ত্রণা। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দেশের মানুষ এসেছে শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়।

বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এক যুগে এ অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে সরকার। তবে সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। রমজান মাস চলছে। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতিদিনের সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মার্চ মাস প্রায় শেষ, আসছে এপ্রিল। এ সময় বাড়বে তাপমাত্রা ও গরম। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কারণে এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তা ছাড়া এপ্রিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কৃষিকাজে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুতের জোগান বা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ খাত-সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, সার কারখানা, ক্যাপটিভ, যানবাহন (সিএনজি), রান্না, বাণিজ্যিক ব্যবহারসহ নানা খাতে দেশে বর্তমানে দৈনিক গড়ে গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। রাষ্ট্রীয় খনি থেকে দেশি-বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি- এই দুইয়ে মিলে সর্বোচ্চ সরবরাহ হয় তিন হাজার এমএমসিএফ। রমজান মাসে ইফতার, তারাবি ও সাহরির সময় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এটা ভালো খবর যে, চৈত্র মাস চললেও লোডশেডিং নেই বললেই চলে। সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করে বলছেন, সামনে বৈশাখ মাস। এ সময়ে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। তবে চিন্তার কিছু নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো-কমানোর পরিকল্পনা করা হয় মৌসুম বিবেচনায় নিয়েই। বিদ্যুৎ চাহিদা কিছুটা বাড়বে, তাই উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতিও আছে। জানা গেছে, এরই মধ্যে ভারতের গোড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎ এবং বাগেরহাট থেকে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরো অনুকূলে চলে এসেছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও কমে এসেছে। অতএব আশা করা যায়, সমস্যা হবে না।

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমরা আশা করব, গরমে মানুষের যেন বিদ্যুৎপ্রাপ্তিতে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে চলমান রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ ও সাহরির সময় যেন বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন থাকে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close