reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ নভেম্বর, ২০২২

ফসল উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে

সামনে যে একটা খারাপ সময় আসছে সেটার আভাস মিলেছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকেই। বছরখানেক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার আগে গেল করোনা মহামারি। গেল বলতে এখনো চলমান আছে। মানুষ মরণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যেই বেজে উঠল যুদ্ধের ধামামা। যুদ্ধ শুরু হলো তো হলোই, আর থামার নামগন্ধও নেই। এই যুদ্ধে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ ভয়াবহতার দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক দেশই।

দেশে দেশে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি, যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার একযোগে বাড়িয়েই চলেছে। এর জেরে ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিকে গভীর সংকট মোকাবিলা করতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই আশঙ্কা খোদ বিশ্বব্যাংকের। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বিশ্বে অর্থনৈতিক শক্তির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপের দেশগুলো। এই তিন শক্তির অর্থনীতির চাকা দ্রুত গতি হারাচ্ছে। এর মধ্যে আগামী বছরে বৈশি^ক অর্থনীতির ওপর মাঝারি কোনো আঘাত এলে তার পরিণতি গড়াতে পারে মন্দায়। এই মন্দায় মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে মূলত উঠতি বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো। এটি নিশ্চয়ই চিন্তা ও উদ্বেগ বাড়ানোর মতো খবর। আসন্ন এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা সেটা নিয়ে ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় জনগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যার পক্ষে যা উৎপাদন সম্ভব হবে, তাই করতে হবে। নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে।’ এই বলে তিনি দেশবাসীকে বারবারই সতর্ক করছেন। এমনকি গত রবিবারও প্রধানমন্ত্রী তার নিজ কার্যালয়ে সচিব সভায় বৈশি^ক সংকটের কারণে দেশকে যাতে কখনোই দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে না হয় সেজন্য জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথাকেই যেন আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ড. আখতার হামিদ খান পল্লী ও সমবায় উন্নয়ন পদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের জমি ও সম্পদকে অধিক উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করতে হবে। কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে সবাই আরো মনোযোগী এবং সমবায় সমিতিগুলোর সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি যা-ই হোক, আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সক্ষমতা আছে। কারণ বাঙালি বীরের জাতি। যেকোনো সংকট মোকাবিলার সাহস এ জাতির আছে। একাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিজয় অর্জন করেছিল এই দেশ। বিশ্বে প্রমাণ করেছিল নিজেদের শক্তি সামর্থ্যরে। পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈশি^ক মহামারি করোনা মোকাবিলা করে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে। সুতরাং আগামীতে যত মন্দাই আসুক, বাংলাদেশ তা ভালোয় ভালোয় উতরে যাবে- সে বিশ্বাস আমাদের আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close