প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৩ মার্চ, ২০২৪

নাভালনির শেষকৃত্যে জনতার ঢল

সম্প্রতি কারাগারের মধ্যে মৃত্যু হয় রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির। পুতিনের অন্যতম সমালোচক নাভলনির মৃত্যুর কারণ নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে দাবি করা হয় তাকে হত্যা করেছে পুতিন প্রশাসন। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরেও করা হয় গড়িমসি। নাভালনির পরিবারের পক্ষ থেকেও পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে রাশিয়ার সরকার জানিয়েছে, কারাগারে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাভালনির।

এদিকে ক্ষোভণ্ডবিক্ষোভের মধ্যে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে সমাহিত করা হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় বিরোধী নেতাকে। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাজার হাজার রাশিয়ান। এ সময় নাভালনির পক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দেন তারা।

রাশিয়ার একটি আদালত নাভালনিকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। বলা হয়, কারাগারে হাঁটাহাঁটির সময়ে নাভালনি অসুস্থ বোধ করেন এবং একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম চলে আসে। ঘটনার পরপরই চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর কথা জানান। নাভালনি মস্কো থেকে প্রায় এক হাজার নয় শ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনিতে ছিলেন।

স্বামীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে বার্তা দিয়েছেন ইউলিয়া। লিখেছেন, ‘জানি না তোমাকে ছাড়া কীভাবে থাকব। তবে আমি চেষ্টা করব। একদিন নিশ্চয়ই আমাদের দেখা হবে।’ নাভালনির স্মরণে ইউলিয়া তাদের কিছু ছবিও পোস্ট করেন। মস্কোর চার্চে নাভালনির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কফিনে করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সমাধিস্থলে। চার্চের ঘণ্টাধ্বনি বাজার পর নাভালনির লাশ আবার শবযানে তুলে নিয়ে সমাধিস্থলের দিকে যাত্রা শুরু হয়।

কফিন চার্চ থেকে বের করে আনতেই মানুষজনকে তাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। এর মধ্যে অনেকে ‘রাশিয়া মুক্ত হবে’, ‘যুদ্ধ নয়’, স্লোগানও দিয়েছে। চার্চ থেকে সমাধিস্থলের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩০ মিনিট। শবযান এগোতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে হেঁটে যাওয়া লোকজনের অনেকেই ‘নাভালনি, নাভালনি’, ‘আমরা তোমাকে ভুলবনা’ স্লোগান দিয়েছে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আর্কটিক পেনাল কলোনিতে হঠাৎ করেই নাভালনির মৃত্যু হয়। কয়েক বছর ধরে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের কড়া সমালোচক বলে পরিচিত ছিলেন। স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়াসহ বিশ্বনেতাদের অনেকে নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দায়ী করছেন। নাভালনির মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিস্তারিত তেমন কিছু জানানো হয়নি। রুশ কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে নাভালনির দেহ তার মায়ের কাছে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। অবশেষে ৮ দিন পর মরদেহ মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নাভালনির দল চেয়েছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। তবে দ্রুতই এটি স্পষ্ট হয়ে যায়, ওইদিন কবর খোঁড়ার মতো কেউ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close