প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় হদিস নেই ৬০০ রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীর

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্যারাস্যুটের সাহায্যে ত্রাণ পাঠাচ্ছে ফ্রান্স ও জর্ডান

ফিলিস্তিনের গাজার আল-আকসা হাসপাতালের ছয় শতাধিক রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে আল-আকসা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালটি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস গতকাল সোমবার এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় লেখেন, আল-আকসা হাসপাতালের পরিচালকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সংকটজনক। হাসপাতালটির ছয় শতাধিক রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীকে বাধ্যতামূলক বেরিয়ে যেতে হয়েছে। তাদের কারো বর্তমান অবস্থান কেউ জানেন না।

গাজার হাসপাতালগুলোর কার্যক্রমকে ‘অত্যাবশ্যক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি জানান, খালি করার ঠিক আগে ডব্লিউএইচওর এক কর্মকর্তা হাসপাতালটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে ‘রক্তাক্ত মেঝে’ আর করিডরে ‘অব্যবস্থাপনা’র মধ্যেই বিভিন্ন বয়সের রোগীদের চিকিৎসা করাতে দেখা গেছে।

এক্স বার্তায় তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস আরো বলেন, গাজায় এই রক্তপাত বন্ধ হওয়া উচিত।

এর আগে গাজার আল-আকসা হাসপাতাল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নেয় মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টানিয়ানস (এমএপি), ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) ও ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলার মুখে এসব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ পাঠাতে এবার ভিন্ন পন্থা নিল ফ্রান্স ও জর্ডান। খান ইউনিস অঞ্চলে প্যারাস্যুটের সাহায্যে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে তারা। সরাসরি ত্রাণ প্রবেশে নানা বাধার কারণেই এমন উপায় অবলম্বন করেছে দেশ দুটি। মিডল ইস্ট মনিটর, টাইমস অব ইসরায়েলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। অঞ্চলটিতে খাদ্য ছাড়াও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দেখা দিয়েছে তীব্র সংকট। এ অবস্থায় রাফা ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী। এতে মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গাজা জুড়ে। তাই উপত্যকাটিতে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি মেটাতে প্যারাস্যুটের সাহায্য নিয়েছে ফ্রান্স ও জর্ডান।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো আকাশ পথে প্যারাস্যুটের সাহায্যে এক হাজার টন প্রয়োজনীয় জরুরি পণ্য গাজায় পাঠানো হয়েছে। তবে সামনে এ পথে আরো ত্রাণ পাঠানো হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে জানাননি কর্মকর্তারা।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তিন মাস পার হলেও কমেনি হামলার ভয়াবহতা। উল্টো দিন যত যাচ্ছে, আক্রমণের নতুন মাত্রা যোগ করছে নেতানিয়াহুর সেনারা। এর মধ্যে প্রতিদিনই গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে তারা। এমনকি রকেট হামলা, গোলাবর্ষণ করে অসহায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণ নিচ্ছে দখলদার বাহিনী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close