প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ জুন, ২০২২

ফের রাশিয়ার সঙ্গে বসতে চায় ইউক্রেন

যুদ্ধ বন্ধে করণীয় নিয়ে আগামী আগস্টের শেষ নাগাদ রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনী যখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকাগুলোয় হামলা তীব্র থেকে তীব্রতর করেছে, এমন সময় নতুন করে আলোচনার বিষয়টি সামনে এলো। খবর আলজাজিরার।

কিয়েভের প্রধান আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউক্রেন আলোচনার জন্য আরো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।

যুদ্ধ শুরুর দিকে দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে বেলারুশ-তুরস্কে একাধিকবার শান্তি আলোচনা হলেও কোনো ফলাফল আসেনি। এরপর থেকেই দীর্ঘদিন আলোচনা বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের ডনবাসের লুহানস্ক ও ডনেস্কে ব্যাপকভাবে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এতে অঞ্চলটিতে চরম পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। কিয়েভের দাবি, মস্কোর ভয়াবহ হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত সেভেরোডনেস্ক শহর।

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার তীব্র সমালোচনা : পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন।

ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করার পর থেকেই মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। এসব পদক্ষেপের কারণে ক্ষিপ্ত পুতিন বলেন, রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা ‘পাগলামি ও অবিবেচনাপ্রসূত’। ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ অর্থনৈতিক আক্রমণ প্রথম থেকেই সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না’, যোগ করেন তিনি।

সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইকোনমিক ফোরামে পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হতে পারে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ২৭ সদস্যের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে এবং ইউরোপের মানুষদের স্বার্থ পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সতর্ক করেছে যে, নিষেধাজ্ঞার কারণে রুশ অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close