আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৪ জুন, ২০২০

সৌদি আরবের রাজধানীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীগোষ্ঠী সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে সংগঠনটির মুখপাত্র বলেছেন, সৌদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারের এই হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে আল-মাসিরাহ বলেছে, ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের গভীরে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানি ঘটেছে কি-না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট দাবি করেছে, তারা হুথি যোদ্ধাদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলতার সঙ্গে ধ্বংস করেছে। সৌদি জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল-মালকি এ হামলাকে বেসামরিক জনগণ ও স্থাপনার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত এবং ধারাবাহিক অভিযান বলে উল্লেখ করেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে তিনি রাজধানী রিয়াদে দুটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং শহরের আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কু-লী দেখেছেন। করোনা মহামারির কারণে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল; যার মেয়াদ শেষ হয় গত মাসে। এরপর থেকেই দুই পক্ষের সহিংসতার পরিমাণ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে হুথি। জবাবে ইয়েমেনে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে সৌদি জোট।

সৌদি জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল-মালকি বলেন, রিয়াদে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হুথিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পর ধ্বংস করা হয়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তবর্তী নাজরান এবং জিজান প্রদেশে হুথিদের ছোড়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দিয়েছে জোট। গত সোমবারও এই বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুর আল-হাদি হুথি বিদ্রোহীদের হামলা ও আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সৌদিতে পালিয়ে যান। পলাতক এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় ফেরানোর লক্ষ্যে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের মার্চে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব। ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সৌদি জোটের জড়িয়ে পড়াকে এই অঞ্চলে সৌদি-ইরান প্রক্সি যুদ্ধের অংশ হিসেবে দেখা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close