ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চার যুবককে প্রকাশ্যে জনবহুল রাস্তায় হাঁটাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। আর আশপাশের নারী ও পুরুষরা ওই যুবকদের গালাগাল করছেন, মারছেন এমনকি জুতাপেটাও করছেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত চার ধর্ষককে কানে ধরে ওঠবসও করানো হয়।

গত রোববার অভিনব এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপাল শহরে। ২০ বছর বয়সী এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এই চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ভোপাল পুলিশের উপমহাপরিদর্শক ধর্মেন্দ্র চৌধুরী জানান, গত রোববার সকালে ওই কলেজছাত্রী মহারানা প্রতাপ নগর থানায় শৈলেন্দ্র দাংগি (২১), সনু দাংগি (২১), ধিরাজ রাজপুত (২৬) ও চিমান রাজপুতের (২৫) বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন। এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই ওই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগপত্রে ওই কলেজছাত্রী জানান, ঘটনার দিন তিনি পূর্বপরিচিত শৈলেন্দ্রের সঙ্গে দেখা করতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর শৈলেন্দ্র তার ফোন কেড়ে নেন। জোরপূর্বক তাকে অপ্সরা সিনেমা হলের পাশে শৈলেন্দ্রের বন্ধু সনুর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন সনু, ধিরাজ ও চিমান। শৈলেন্দ্র ও ধিরাজ তাকে ধর্ষণ করেন। আর বাকি দুজন তাদের সাহায্য করেন।

তারা এ ঘটনা কাউকে জানাতে মানা করেন। অন্যথায় ওই তরুণী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেন।

পুলিশের উপমহাপরিদর্শক ধর্মেন্দ্র চৌধুরী জানান, গ্রেফতারের পর চার যুবক ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ধর্ষকদের অভিনব এ শাস্তির ব্যাপারে ভোপাল পুলিশের মহাপরিদর্শক জয়দীপ কুমার জানান, এটি মেয়েদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা এখন নির্ভয়ে নির্যাতনের কথা পুলিশকে জানাতে পারছেন। এর ফলে অপরাধীদের মনেও ভয় ঢুকবে বলে মনে করেন তিনি।

"