আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উ. কোরিয়ার ওপর অবরোধ বজায় রাখার আহ্বান
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বাতিলের ক্ষেত্রে সত্যিকারের অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের ওপর অবরোধ বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র গত সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্মত হওয়ার কয়েক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার নিউইয়র্কে পরিষদের দূতদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। জাতিসংঘে মার্কিন মিশনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ম্যাকমাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সকলে সম্মত হয়েছি যে এ সুযোগের ব্যাপারে আমরা অনেক আশাবাদী। তবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে সত্যিকারের অগ্রগ্রতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা উ. কোরিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপের বিষয়ে প্রচারণা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।’
ট্রাম্প গত সপ্তাহে এই প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে সম্মত হন। মে মাসের শেষের দিকে তাদের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ দুই নেতার মধ্যে বাগ্যুদ্ধ এবং পরস্পরকে হুমকি দেওয়ার পর তাদের এ আলোচনাকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আশার আলো দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের এক কূটনীতিক জানান, দূতদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে ম্যাকমাস্টার নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত জাতিসংঘের তিনটি প্রস্তাব এবং উত্তর কোরিয়াকে আলোচনার টেবিলে বসাতে প্রচারণার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিমের সরকার ষষ্ঠবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র এবং একের পর এক অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর তাদের বিরুদ্ধে এ অবরোধ আরোপ করা হয়। উল্লেখ্য, পিয়ংইয়ংয়ের মিত্র দেশ চীনের সঙ্গে আলোচনা করার পর সর্বসম্মতিক্রমে এসব অবরোধ প্রস্তাব গৃহীত হয়। বাসস।
কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে চাপ ট্রাম্পকে : বলা নেই-কওয়া নেই, দুম করে বলে দিলেন কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করব! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কা-ে মোটেই খুশি নন রিপাবলিকানরা। পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প রোধ নিয়ে কিমের দেশ থেকে কোনো রকম প্রতিশ্রুতি আদায় না করে এই সাক্ষাতে রাজি হয়ে যাওয়াটা মোটেই কাজের কাজ হয়নি বলে মনে করছেন কয়েক জন রিপাবলিকান সেনেটর।
এখনো সময় আছে। তাই রোববার রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কিম জং উনের সঙ্গে মুখোমুখি ওই আলোচনায় বসার আগে কড়া পূর্বশর্ত ঠিক করা প্রয়োজন। সেনেটর করি গার্ডনার যেমন বলছেন, ‘পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা থেকে উত্তর কোরিয়া সরে এসেছে এমন প্রমাণ না পেলে কিমের সঙ্গে দেখা করা উচিত নয় ট্রাম্পের। কিন্তু এমন পূর্বশর্ত রাখার ভাবনা ট্রাম্প শিবিরের আছে কি? এ বিষয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টও খুব খোলাসা করে কিছু বলেননি। কিমের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে কত জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে তার কথা হয়েছে, সে বিষয়ে টুইট করেছেন। কিন্তু গত শনিবার পেনসিলভ্যানিয়ায় এক সভায় তিনি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে শুধু বলেন, ওরা ওটা নিয়ে ভাবছে। কে জানে কী হবে! ট্রাম্পের বক্তব্য, আপাতত যুব নেতার (কিম জং উন) সঙ্গে আমাদের ভালো ব্যবহার করতে হবে! আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্পের সংযোজন, ‘আমরা হয়তো বিশ্বের জন্য সেরা চুক্তিটা করব।’
"