নজরুল ইসলাম জিসান, ইবি

  ২৬ মে, ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

১১ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফেলোশিপ বঞ্চিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিজ্ঞানবিষয়ক তিনটি অনুষদের ১১টি বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী এবারের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিভাগগুলোতে সময়মতো চিঠি না প্রেরণ করায় এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, গত ১৫ মে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষায় (এমএস ও পিএইচডি) ফেলোশিপের আবেদন শেষ হয়েছে। তবে আবেদনের শেষ হওয়ার চার দিন পর ১৯ মে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি প্রেরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর। সেই চিঠির সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিও সংযুক্ত করা হয়। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খান। এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে সময়মতো চিঠি এলেও কর্মকর্তাদের টেবিলে পড়ে ছিল সেই চিঠি। এতে এ বছরের ফেলোশিপ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবকিছুতেই ঢিলেমি করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ফেলোশিপ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারী। যেখানে আবেদন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জানানোর কথা সেখানে আবেদন শেষ হওয়ার চার দিন পর বিভাগে জানানো হচ্ছে। ব্যাপারটা চরম দুঃখজনক। প্রশাসনের অবহেলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ও সুবর্ণ সুযোগ হারাচ্ছে।

এ বিষয়ে জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক বলেন, ফিলোশিপের আবেদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার চার দিন পর চিঠি পেয়েছি। এটা আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের খামখেয়ালি বলে মনে করি। এটা কখনোই প্রত্যাশিত নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলব।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আলীবদ্দীন খান বলেন, এটি পাঠানোর দায়িত্ব ছিল উপ-রেজিস্ট্রার টিপু সুলতানের। তিনি পাঠানোয় টেবিল পড়ে ছিল। ১৮ মে আমি দেখতে পেয়ে ১৯ মে আমি বিজ্ঞানবিষয়ক তিন অনুষদের ১১টি বিভাগে চিঠি প্রেরণ করি।

উপ-রেজিস্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, আমি ক্যাম্পাসে একটি বড় আয়োজন নিয়ে বেশ কিছুদিন ব্যস্ত ছিলাম। এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। রেজিস্ট্রারকে অবহিত করেই কয়েক দিন ছুটিতে ছিলাম। তবে আমার পিয়নকে বলা ছিল আমি না থাকা অবস্থায় কোনো ফাইল এলে যেন আলীবদ্দীন খানকে দেওয়া হয়।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসলেন, আমার কাছে কিছু আসার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিই। এটি একাডেমিক শাখার বিষয় ছিল। তাদের উচিত ছিল যথা সময়ে বিভাগে পৌঁছে দেওয়া। আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নেব। অন্য যে কাজই থাকুক অফিসের কাজে গাফিলতির সুযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close