ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে বিভিন্ন বিভাগের ভর্তির যোগ্যতার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে বাংলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে ভালো নম্বর পাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিজ্ঞপ্তিতে ইংরেজিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজিতে ‘এ’ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোনো বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ওই বিভাগের সুপারিশে রাখা হয় বলে জানা গেছে। তবে এ বছর বাংলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগের কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভর্তিচ্ছুরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজিতে অবশ্যই ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে। তবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এ বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলায় ন্যূনতম যোগ্যতা ‘বি’ গ্রেড রাখা হয়েছিল। এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের নাম গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা লেখা হয়েছে। এর কারণে ভর্তিচ্ছুরা বিপত্তিতে পড়তে পারেন বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের।

বাংলাবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এ বিভাগে ভর্তিতে কোনো শর্ত রাখা হয়নি। তবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এ বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলায় ন্যূনতম যোগ্যতা ‘বি’ গ্রেড রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বাংলার পরিবর্তে ন্যূনতম যোগ্যতা ইংরেজিতে ‘বি’ গ্রেড রাখা হয়েছে। তবে এ বছরও ইংরেজিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ঠিকই উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজিতে ন্যূনতম যোগ্যতা ‘এ’ রাখা হয়েছে।

আজমল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, বাংলায় ভর্তির ক্ষেত্রে কেন বাংলায় শর্ত না রেখে ইংরেজিতে রাখা হয়েছে? অথচ ইংরেজিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ঠিকই ইংরেজিতে শর্ত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আমরা বাংলায় ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের বাংলাকে বিবেচনা করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির মিটিং থেকে এ যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে মিল রেখে এটা করেছি।’

বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিগত দুই সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন তাদের সুপারিশ রাখা হয়নি। তারা সুপারিশের ক্ষেত্রে বাংলায় শর্ত দিয়েছেন। তবে আমি মনে করি বাংলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলায় শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে থাকা উচিত। আর ইংরেজিতে একটা পাস মার্ক থাকা উচিত। বিভাগ যেহেতু বাংলার ক্ষেত্রেই সুপারিশ করেছে, তাই এখানে আমাদের দায় নেই। গুচ্ছ কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ভালো জানেন।’

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিভাগগুলো থেকে ভর্তির যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পরে ফ্যাল্টির ডিনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আসে। তারা যে কি শর্ত দিয়েছে সেটা ফাইল না দেখলে বোঝা যাবে না।’

"