টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) এলাকায় ছাত্রীদের একটি মেসে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা মুক্তমঞ্চে অবস্থান নিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

ছাত্রীদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার বাড়ির মেস মালিকের ছেলে কৌশলে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাথরুমের ভেতর মোবাইল ক্যামেরা স্থাপন করেন। একপর্যায়ে তা দেখে ফেলেন চতুর্থ বর্ষের সোনিয়া (ছদ্মনাম) নামের এক ছাত্রী। ক্যামেরা দেখে তিনি চিৎকার করেন। বাইরে এসে মেসের অন্য মেয়েদের নিয়ে তা দেখতে ছাদে যান। ছাদে মেস মালিকের ছেলে তুহিন সরকারকে দেখতে। এতে ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দ্রুত নিজ বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন। চেয়ারম্যান বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডিকে জানাতে বললে ৮ মে বুধবার প্রক্টরিয়াল বডিকে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।

প্রক্টর অফিসে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি জানান, আমি ঘোষপাড়ার হানিম সরকারের ছাত্রী মেসের পঞ্চমতলায় ছিলাম, গত ৭ মে জরুরি প্রয়োজনে মেসে আসি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাথরুমে গোসল করতে যাই। গোসলরত অবস্থায় বাথরুমের জানালায় আমি লাঠি জাতীয় কিছুর সঙ্গে একটি ফোনের ক্যামেরার দিকটা বাধা অবস্থায় দেখতে পাই। তৎক্ষণাৎ আমি মেসের সবাইকে নিয়ে ছাদে যাই। সেখানে গিয়ে তারা উপলব্ধি করেন কেউ একজন লুকানোর চেষ্টা করছে, সিঁড়িঘরে ট্যাংকের পেছনে। যখন সবাই বুঝতে পারেন এবং তাকে বের হয়ে আসতে বলেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর সেখান থেকে বাড়িওয়ালার ছেলে তুহিন সরকার বের হয়ে আসেন এবং পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেন। তার পরিবারকে জানানো হলেও তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে মেসে অবস্থানরত মেয়েরা আতঙ্কে রয়েছেন। এই মেসে অবস্থানরত মেয়েরা সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান।

"