নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গোপীবাগে ট্রেনে আগুন

চারজনের মরদেহ পেল পরিবার

ডিএনএ শনাক্তের পর বুঝিয়ে দেওয়া হলো রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনে অঙ্গার চারজনের মরদেহ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ। দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পর মরদেহ বুঝে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।

যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় তারা হলেন- রাজবাড়ীর আবু তালহা (২৩), চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও এলিনা ইয়াসমিন (৪৪) ও পুরান ঢাকার নাতাশা জিয়াসমিন নেকির (২৫)। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) অফিসার ইনচার্জ (ওসি)? ফেরদাউস আহাম্মেদ বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মরদেহ চারটি একেবারেই পোড়া ছিল। এজন্য চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবি করা স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিং করা হয়। এর মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। আজ (গতকাল) মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হলো।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রিমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই। নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহাম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝিয়ে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবার কীভাবে কেটেছে তা বোঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close