প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

টানা শৈত্যপ্রবাহ

কুড়িগ্রামে জনজীবন বিপর্যস্ত, রোগ বাড়ছে বিভিন্ন জেলায়

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়লেও বাইরের জেলাগুলোতে বিরাজ করছে তীব্র শীত। কুড়িগ্রামে এখনো কমেনি শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। এ জেলার ওপর দিয়ে ৯ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পটুয়াখালী ও নেত্রকোনার মদনপুরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুড়িগ্রাম : গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ৪৮ জন এবং শিশু ওয়ার্ডের ৪৪ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৮৭ জন। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষকরা বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্য জমি তৈরি করছি। ঠাণ্ডার জন্য ভালো মতো কাজ করতে পারছি না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুপুরে কিছু সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও তা ছিল উত্তাপহীন। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। শীতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। এরই মধ্য শ্রমজীবী মানুষের রুজি-রোজগার ও আয় অনেকটাই কমেছে। সেই সঙ্গে কলাপাড়া উপজেলার হাসপাতালে শিশু ও প্রবীণ রোগীর ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।

কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তীব্র শীত আরো দু-তিন দিন থাকতে পারে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখে শীত কমতে পারে।

কলাপাড়া সদর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডা. জেইস খান লেলিন বলেন, তীব্র শীতের কারণে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সার্বক্ষণিক আমাদের উন্নত চিকিৎসাসেবা চলমান রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে একশোর বেশি রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। এরই মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি।

মদন (নেত্রকোনা) : মাঘের তীব্র শীতে বাড়ছে হাওড় অঞ্চল খ্যাত মদন উপজেলায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নবজাতক থেকে পাঁচ বছরের শিশু। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শতাধিক শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেশি। শীতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিদিনেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন চন্দ্র ঘোষ বলেন, তীব্র শীতে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনেই নতুন নতুন রোগী আসছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তবে দুই তিন দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বেশির ভাগ শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close