প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৫ মে, ২০২৩

বিষাক্ত রং মেশানো ভেজাল মসলা

চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় অভিযান, আটক জরিমানা, সিলগালা

সামনে কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে ঘিরে মসলার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। আর এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে বিষাক্ত রং মিশিয়ে ভেজাল মসলা তৈরি করছে। এই বিষাক্ত রং মেশানো ভেজাল হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার গুঁড়া তৈরি করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে র‌্যাবের এবং বগুড়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এসব ভেজাল মসলার গুঁড়া জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে আটক ও জরিমানার খবর জানাচ্ছেন প্রতিনিধিরা-

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিষাক্ত রং মিশিয়ে ভেজাল মসলা তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে নগরীর বাণিজ্য কেন্দ্র চাকতাই এলাকার ১০ জন ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (২৩ মে) বেলা ১১টায় চাকতাই এলাকার জসিমের ক্রাসিং মিলের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বিষাক্ত রাসায়নিক রং মিশ্রিত প্রায় ৬০০ কেজি হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুঁড়া এবং ১২ কেজি ভেজাল রং ও রাসায়নিক পদার্থসহ ভেজাল মসলা জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন মো. জসিম উদ্দিন (মিল মালিক) (৪০), মো. শরীফ হোসেন (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৩৬), মো. জিলানী (২০), মো. সুজন (১৯), মো. সাইদুল (২০), আবদুল কাদের (৩৮), মো. সজল (৪৩), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও মো. কামরুল হাসান (২৫)।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেজাল রং মিশ্রিত প্রায় ৬০০ কেজি হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুঁড়া এবং ১২ কেজি ভেজাল রং ও রাসায়নিক পদার্থসহ ১০ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসব ভেজাল মসলা তারা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রি করত। আটকদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত রং ও রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ভেজাল মসলা তৈরি করে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে।

বগুড়া : বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া শহরের রাজাবাজারে বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। এ সময় সুলতান বাদশার মসলা ভাঙানোর দোকানে মিশ্রণরত অবস্থায় কাপড় ও কাঠের রঙ পাওয়া যায়। ওই কারখানায় বস্তাভর্তি ধানের তুষ পাওয়া যায়। এ সময় এক ব্যবসায়ীর ১ লাখ টাকা জরিমানা ও দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়।

মসলায় ধানের তুষ এবং নিষিদ্ধ রঙ মেশানোর অপরাধে প্রতিষ্ঠান সিলগালাসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি এনামুল হক দুলাল, রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, শহরের রাজাবাজারে বিভিন্ন মসলার গুঁড়া করার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মরিচ গুঁড়ায় লাল রং এবং হলুদ গুঁড়ায় হলুদ রং মিশ্রণ করে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এসব রং মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের কার্যক্রম ঘৃণিত অপরাধ। এ কারণে ওই দোকান সিলগালাসহ এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এ সময় সচেতনতার লিফলেট বিতরণ করা হয়। অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন অফিস, চেম্বার অব কমার্স এবং জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close