কনক দেব, শিবগঞ্জ (বগুড়া)

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

শিবগঞ্জে খাদ্যগুদাম ফাঁকা

কৃষকদের অনিহার কারণে ধান কেনা হয়নি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদামে। ধানের বাজারদর গোডাউনে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি থাকায় চাষিরা হাটবাজারেই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, সরকারি নিয়মনীতি অনুযাযী গোডাউনে ধান বিক্রি করা বড়ই ঝামেলার কাজ। তা ছাড়া সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে ভালো দর পাচ্ছেন তারা। ঝামেলা এড়াতে কৃষকরা গোডাউনে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

অথচ কয়েক বছর আগে বাজারমূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন খাদ্যগুদামে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গেলে, উপজেলা খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, ধান সংগ্রহ করতে না পারার কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। ধানের সরকারি দর ২৮ টাকা কেজি। আর বাজারে কৃষকরা ধান বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকা।

উপজেলা খাদ্য অফিস জানিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর এই উপজেলায় ১২০০ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষণীয় ব্যাপার, এখন পর্যন্ত একছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য বিভাগ।

এলাকার কৃষক রফিকুল, সাত্তার মিয়া, রুহুল মণ্ডল, খালিদ হাসান, রবিউলরা জানান, সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে মণপ্রতি এক শ থেকে দেড় শ টাকা বেশি। তাহলে আমরা খাদ্যগুদামে কেন ধান বিক্রি করব।

তারা আরো জানান, খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে আর্দ্রতা, ধানের রং ইত্যাদি নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক ঝামেলা হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক পরিতোষ কুমার কুণ্ড প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে কৃষকরা বাজারে ধানের দাম একটু বেশি পাচ্ছেন, এজন্য কৃষক গুদামে ধান বিক্রি না করে বাজারে ধান বিক্রি করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close