নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ জুন, ২০২২

কর আদায় মোবাইলে ভালো হবে

ড. আতিউর

দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন। আর সেই অর্থ আয় করতে হলে কর কাঠামো সহজ থেকে সহজতর করতে হবে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এনবিআর ও ব্যাংকগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে কর আদায় মুঠোফোনে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের কর আদায় বাড়াতে হবে। মোবাইল ফোনে খুব সহজেই প্রতি মাসের কর আদায় করা যায়। বেতনের একটি অংশও কেটে রাখার যায়। বিশে^র অনেক দেশেই এসব ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

গতকাল শনিবার মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস ও দৈনিক আনন্দবাজার আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ : পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমীন রিনভী ও প্যানেল আলোচক ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবদুর রহমান মাসুম। সংগঠনটির আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এনায়েতুল্লাহ কৌশিক ও জীম মণ্ডল।

অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আরো বাজেট বাড়াতে হবে। কোভিড-১৯, বন্যা ও নানা প্রাকৃতিক, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি আগামীতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বুঝা যাচ্ছে না। তাই এ মুহূর্তে মানুষের দুর্যোগ-দুর্ভোগ কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ আরো বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দিল্লিতে মেট্রোরেলের কারণে ১৮.৫০ শতাংশ জিডিপি বেড়ে গিয়েছিল। আমাদের মেট্রো রেল হলে আমাদের অবস্থারও উন্নতি হবে। বর্তমান ট্রাফিক জ্যামে দিনে ৩৮ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। মেট্রোরেল হয়ে গেলে ৬০ হাজার মানুষ ঘণ্টায় যাতায়াত করতে পারবে। ফলে সময় বাঁচবে, বাড়বে কর্মঘণ্টা। মানুষের আয় বাড়বে। যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন মেট্রোরেলের যাত্রীরা।

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ করা উচিত। কিছুদিনের জন্য হলেও বন্ধ করা উচিত। রেগুলেটরি ডিউটি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ এক শ্রেণির হাতে অঢেল টাকা রয়েছে, তাদের দাম বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, কেমন করে বাস্তবায়ন হবে, তার ওপর নির্ভর করবে বাজেটের সাফল্য। আমাদের উচিত সম্পূরক বাজেটের আলোচনা করা। কী করেছি, কী করতে পারিনি সেটা দেখতে হবে। দেশে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজ করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close