প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৩ মে, ২০২২

বাইডেনসহ ৯৬৩ আমেরিকানের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ৯৬৩ আমেরিকানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গসহ আরো সরকারি কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত শনিবার প্রকাশিত এক তালিকায় এ কথা জানানো হয়। এই পদক্ষেপটি ওয়াশিংটনের অনুরূপ নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ বলে মনে করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, রাশিয়াবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ‘কালো তালিকায়’ যুক্তরাষ্ট্রের ৯৬৩ নাগরিকের নাম উঠেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রমাগত আরোপিত রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ও আমাদের জাতীয় ‘স্টপ লিস্ট’-এর প্রকৃত গঠন সম্পর্কে আসা অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন নাগরিকদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যাদের রাশিয়ায় প্রবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর গত তিন মাসে এ তালিকায় নতুন করে অনেকের নাম যুক্ত হয়েছে।

রাশিয়ার কালো তালিকায় আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার ছেলে হান্টার বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও সাংবাদিক আছেন এই তালিকায়। আরো আছেন হোয়াইট হাউসের সদ্য সাবেক প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, এটি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী সোফি ট্রুডোসহ আরো ২৬ জন কানাডিয়ানকে নিষিদ্ধ করেছে।

রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গত ১৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় রাশিয়া। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও মার্ক জাকারবার্গের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর কানাডার নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৩৫ ও ৩৬ বছর বয়সি কন্যা কাতেরিনা তিখোনোভা ও মারিয়া ভরোন্তসোভা। ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে কানাডা ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়েসহ ঘনিষ্ঠ ১৪ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় গত ১৯ এপ্রিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। বহু মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। এর মাঝে কয়েকটি অঞ্চলে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবিও করেছে ইউক্রেন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ৫০ লাখ ইউক্রেনীয়। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। অন্যদিকে, হার মানতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারেও। অধিকাংশ দেশে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে না পারায় খাদ্য সংকটও তৈরি হয়েছে কয়েকটি দেশে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close