প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২১

ঢাকার ৪ নদীর দখল ঠেকানো

এবার ভুল শুধরে সীমানা খুঁটি

আদালতের আদেশে ঢাকার চারপাশের নদীর দখল ঠেকাতে সীমানা খুঁটি শুধরে স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে জোরেশোরে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দাবি করছে, এবার নির্ভুলভাবেই বসানো হচ্ছে এই খুঁটি। নদী টাস্কফোর্সের পরামর্শে ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিএ সীমানা খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ৬ হাজার ৮৪৩টি সীমানা খুঁটির মধ্যে ৪ হাজার ৬৩টি বসানোর পর তার প্রায় এক হাজারটি সঠিক স্থানে না বসলে কাজ স্থগিত রাখা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে জরিপ চালানোর পর বিআইডব্লিউটিএ ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে খুঁটি স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা খুঁটি বসানোর কাজ চালাচ্ছে। এজন্য ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) কাজী ওয়াকিল নওয়াজ বলেন, আমি তো (সীমানা পিলার বসানো) শতভাগ নির্ভুল বলেই মনে করছি।

বাংলাদেশ পানি আইনে বছরের যেকোনো সময় ভরাটকাল চলাকালীন নদীর সর্বনিম্ন পানি স্তর হতে সর্বোচ্চ পানি স্তরকে নদীর ঢাল বা নদীর তীরভূমি বা ফোরশোর বলা হয়েছে। বন্দর আইন-১৯০৮ অনুযায়ী ঘোষিত নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় সর্বোচ্চ পানি স্তর হতে ৫০ মিটার এবং অন্যান্য এলাকায় সর্বোচ্চ পানি স্তর হতে ১০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা নদীর তীর।

সীমানাখুঁটি বসানোর পদ্ধতি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, পোর্ট লিমিট (বন্দর সীমা) বরাবর খুঁটি বসানো হচ্ছে। এখানে কঠিন কোনো টেকনিক দরকার হয় না। অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ দিয়ে ফোরশোর ধরে ১০০ ফুট পর পর খুঁটি বসানো হচ্ছে। সূত্র : বিডিনিউজ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close