নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
স্ত্রীর চুল কেটে নিল মাদক কারবারি স্বামী
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মাদক কারবারের জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে না দেওয়ায় স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা এবং পরে কাঁচি দিয়ে চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ছয় বছর আগে নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোছন গ্রামের দিনমজুর ইয়াদুল ইসলামের মেয়ে মাহমুদাকে বিয়ে করেন পাশের বুড়ইল ইউনিয়নের চাপিলাপাড়া গ্রামের উকিল উদ্দিন। এ দম্পতির চার বছর বয়সি একটি ছেলে রয়েছে। ইয়াদুল ইসলাম বলেন, মিথ্যে তথ্য দিয়ে উকিল উদ্দিন আমার মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের পরপরই ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। ধারদেনা করে যৌতুকের দাবি মেটানো হয়। নতুন করে আরো ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে মেয়ের ওপর গত এক বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে ৫০ হাজার যৌতুকের নিতে মেয়েকে আমার বাড়িতে পাঠানো হয়। কিন্তু আমি কামলা-কিষান দিয়ে খাই। এত টাকা দেব কীভাবে?
মাহমুদা বেগম বলেন, উকিল উদ্দিন এক সময় দিনমজুরি দিত। এখন মাদক কারবারে জড়িয়েছে। সে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে কিছুদিন হলো চাপ দিচ্ছিল আমাকে। বুধবার বাবার বাড়ি থেকে ফেরার পর উকিল উদ্দিন বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা টাকা চায়। বাবা দিতে পারেনি জানালে সন্ধ্যা থেকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে চিকিৎসার জন্য বাবার দেওয়া এক হাজার টাকাও দাবি করে। সেই টাকা না দেওয়ায় কয়েক দফা মারধর করে। রাত ১২টার দিকে আমাকে হত্যার উদ্দেশে বালিশ চাপা দেয়। আমি চিৎকার দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে কাঁচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়। এরপর রাতভর নির্যাতনের পর সকালে বাবার বাড়িতে খবর পাঠালে বাবা-মা আমাকে বুড়ইল ইউপি সদস্য খয়বর আলী বলেন, চুল কাটার খবর পেয়ে গতকাল চাপিলাপাড়া গ্রামে উকিল উদ্দিনের বাড়িতে গেলে মাহমুদা বেগম তার চুল কাটার কথা স্বীকার করেন। মাহমুদা স্বামীর বিচার চাইলে তাকে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযুক্ত উকিল উদ্দিন আত্মগোপন করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"