reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ নভেম্বর, ২০২১

১২৪ রান নিয়ে হোয়াইটওয়াশ কি এড়ানো যাবে? 

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর শঙ্কায় ভুগছে বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২৪ রান। নাঈম বড় স্কোর করলেও খেলেছেন ধীর গতিতে। এই পুঁজি নিয়ে টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেন শেখ নাঈম এবং তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে প্রমোশন পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শাহনেওয়াজ দাহানিকে বাউন্ডারি মারা শান্ত পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান। তার সংগ্রহ ৫ বলে ৫ রান। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিন নম্বরে নামেন শামীম হোসেন। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি্ও হাঁকান। শাহনেওয়াজের করা ফিরতি ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে জোড়া বাউন্ডারি। বিপরীতে নাঈম ছিলেন ধীরগতির।

এই জুটিতে যখন আশার আলো দেখছিল বাংলাদেশ, তখনই ছন্দপতন। পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার উসমান কাদিরের করা ৮ম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামীম ধরা পড়েন ইফতেখার আহমেদের হাতে। শামীম ফিরেন ২২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২২ রান করে। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন আফিফ। ১০ম ওভারে উসমান কাদিরকে বাউন্ডারি মেরে হাত খোলেন নাঈম। এরপর আফিফের থেকেও ছক্কা হজম করেন কাদির। ১০ ওভারে বাংলাদেশ করে ৫২ রান।

১৩তম ওভারে নাঈমের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন আম্পায়ার নাকচ করলে রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। ২১ বলে ২০ রান করা আফিফের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটের পতন। ব্যাট হাতে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১৭তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে। ১৯ তম ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান মোহাম্মদ নাঈম। তিনি ৫০ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ৪৭ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন। একই ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলা সোহান। হারিস রউফের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ১৪ বলে ১৩ রান করা মাহমুদউল্লাহ।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সোমবার টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে সিরিজের তিন ম্যাচেই টস জিতলেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সিরিজ হেরে বসেছে। আজকের ম্যাচ হারলে 'হোম অব ক্রিকেটে' পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হবে। গত দুই ম্যাচে টাইগারের পারফর্মেন্স, বিশেষ করে ব্যাটিং ছিল খুবই জঘন্য। প্রথম ম্যাচে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করেছে।

বাংলাদেশের একাদশ : নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শহিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, ও তাসকিন আহমেদ।

পাকিস্তান একাদশ : বাবর আজম (অধিনায়ক), সরফরাজ আহমেদ, ইফতিখার আহমেদ, শাহনেওয়াজ দাহানি, উসমান কাদি, হায়দার আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হাসান আলি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাংলাদেশ-পাকিস্তান,টি-টোয়েন্টি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close