reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ এপ্রিল, ২০২১

সাকিবের ফিফটির দিনে হারল কলকাতা

ব্যাট হাতে ৯ রান করলেও অন্যরকম ফিফটি করেছেন সাকিব আল হাসান। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে নিজের ৫০তম ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

তবে জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না নিজের মাইলফলক ছোঁয়ার এই ম্যাচ।

শেষ ওভারে গড়ানো উত্তেজনার ম্যাচে হাসি ফুটল আইপিএলে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ী দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস শিবিরে।

মাত্র ১০ রানে এইউন মরগ্যান বাহিনীকে হারাল রোহিত শর্মার দল।

মঙ্গলবার আইপিএলের চলতি আসরের পঞ্চম ও নিজদের দ্বিতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন কলকাতার অধিনায়ক এইউন মরগ্যান।

সাকিবের কিপটে বোলিংয়ে আগের ম্যাচগুলোর মতো বড় টার্গেট হয়নি।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয় মুম্বাই। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাকিব। সাকিবের চেয়ে ১ রান বেশি দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন পেসার প্যাট কামিন্স।

তবে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ক্যারিবীয় পেসার আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ২ ওভার করে ১৫ রানের খরচায় নিয়েছেন ৫ উইকেট।

তবে ব্যাটসম্যানরা রাসেলের অতিমানবীয় বোলিংয়ের মান রাখতে পারেননি। বল হাতে দুর্দান্ত হলেও ব্যাট হাতে নামের সুবিচার করতে পারেননি সাকিবও। ৯ বলে ৯ রান করে হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

গত ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও লড়েছেন ওপেনার নীতিশ রানা। ৪৭ বলে ৫৭ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন।

বলতে গেলে মুম্বাইয়ের ১৫২ রানের জবাবে মারকুটে ভঙ্গিতে না হলেও ধীরে সুস্থে লক্ষ্যের দিকেই ছুটছিলেন কেকেআরের দুই ওপেনার নীতিশ রানা ও শুবমান গিল।

উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৫ ওভারে ৭২ রান তোলেন। কেকেআরপ্রেমীরা নিশ্চিন্তে খেলা উপভোগ করছিলেন যে, বড় কোনো বিপদ না ঘটিয়েই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে নেবে মরগ্যান বাহিনী।

কিন্তু সে ভাবনায় বাঁধ সাধলেন রাহুল চাহার। ওপেনার শুবমান গিলকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে থামিয়ে দেন। এরপর যেন বালির বাঁধের মতো উইকেট পড়তে থাকে কেকেআরের।

ব্যাটসম্যানরা শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। দুই ওপেনার ছাড়া বাকিদের রান পর পর সাজালে মনে হবে কারো ফোন নাম্বার।

রানা ও গিল বাদে ২ অংকের কোটায় পৌঁছুতে পারেননি কলকাতার আর কোনো ব্যাটসম্যান। চাহারের লেগব্রেক ঘূর্ণির পর ট্রেন্ট বোল্টের পেসে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় কেকেআরের ইনিংস।

এমন সুপার ফ্লপের পরও শেষ ওভারে জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিল কলকাতা।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। হাতে ৫ উইকেট। অসম্ভবের কিছু নয়। কিন্তু আন্দ্রে রাসেল ও দীনেশ কার্তিককে ১৫ রান নিতে দেনটি কিউই পেসার বোল্ট।

উল্টো তিনি ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। সাজঘরে ফেরান রাসেল ও কামিন্সকে। ফলে ১০ রানে জয় পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারিয়ে শুরু করে মুম্বাই। এরপর রোহিত শর্মা আর সুর্যকুমার যাদব ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন। তাদের ৭৬ রানের জুটি বড় স্কোরের ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। কিন্তু এই জুটি ভাঙেন সাকিব।

এরপর আর ঝড়ো ইনিংস খেলতে পারেননি মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা।

সুর্যকুমার যাদব সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ৩৬ বলে। ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এছাড়া ৪৩ রান করেন রোহিত শর্মা। ৩ বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা একটি। ১৭ বলে ১৫ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ৯ বলে ১৫ রান করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

১৮তম ওভারে রাসেলকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মরগ্যান। বোলিংয়ে এসেই নিজের প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পরের ওভারে ১০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।

তবে হারের পর রাসেলের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ফিকে হয়ে গেল।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হারল,কলকাতা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close