সাহাবিদের মনে আজ আনন্দ, রোগমুক্ত হলেন নবী মুহাম্মদ (সা.)
২৩ হিজরির শুরুতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল। ফলে তিনি ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না।
২৮ সফরের এই দিনে অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবার দীর্ঘ রোগ ভোগশেষে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এদিন শেষবারের মতো গোসল করে নামাজে ইমামতি করেন প্রিয় নবী (সা.)। তার সুস্থতার খবরে সাহাবিরা উচ্ছ্বসিত হয়ে হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা, বহু উট ও দুম্বা দান করেন।
তবে পরদিন আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মহানবী (সা.)। এর মাত্র ১৫ দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
ফারসি শব্দগুচ্ছ ‘আখেরি চাহার শম্বা’র বাংলা অর্থ ‘শেষ বুধবার’। দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে ইসলাম ধর্মবিশ্বাসীরা। সাহাবিদের অনুসরণে দান করেন এই দিনে।
ইরান ও উপমহাদেশের মুসলমানগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন। দিল্লির মুগল বাদশাহগণও যথেষ্ট মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালন করতেন। বাংলাদেশে এদিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকে। এদিন মুসলমানগণ নফল নামায পড়েন ও দোয়া-জিকির করেন। কেউ কেউ দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করেন।