ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০১ জানুয়ারি, ২০২৪

কুড়িগ্রাম-১ আসন

ভোটের মাঠে নির্ভার জাপার মোস্তাফিজুর

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় কুড়িগ্রাম-১ (ভুরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী) আসনে নির্ভার জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে তিনি প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। লাঙ্গলের প্রতিপক্ষ জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাইও (গোলাপ ফুল) ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। করছেন সভা-সমাবেশও। এ আসনে অন্য তিন প্রার্থী ভোটে থাকলেও মাঠে নেই। নির্বাচনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি থাকলেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (একতারা প্রতীক) এখনো প্রচারণা শুরু করেননি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪২৯ এবং ভূরুঙ্গারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটার মোট ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৪ জন। এই আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির আব্দুল হাই (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কাজী লতিফুল কবীর রাসেল (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পাটির্র নুর মোহাম্মদ (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (একতারা)সহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই উপজেলার হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে জাতীয় পার্টি মনোনীত মোস্তাফিজুর রহমান লাঙ্গল এবং জাকের পার্টির আব্দুল হাইয়ের (গোলাপ ফুল) নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ রয়েছে। তবে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারের কোন অফিস বা গণসংযোগ চোখে পড়েনি। ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের ভোটার মোস্তাক, রাজু ও মাহবুব জানান, লাঙ্গল ও গোলাপ ফুল মার্কার পক্ষে-বিপক্ষে তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনেছি আরো তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে তাদের আমরা কখনো দেখিনি এবং চিনিও না।

ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির জামান, রাসেল ও রনি জানান, এবার সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রথমবার ভোট দেব। শুনেছি এবার ৫ জন ভোটে দাঁড়িয়েছে। সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে চিনি। বাকি ৩ জনের নাম কখনো শুনিনি। এ বিষয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী নূর মোহাম্মদ (আম মার্কা) জানান, ভোটের মাঠের আমরা নতুন প্রার্থী। তাই স্থানীয় ভোটাররা অতটা চেনেন না। পরিচিত হতেই নির্বাচনে এসেছি। দুই উপজেলাতে পোস্টার লাগানো হয়েছে এবং মাইকিং করা হচ্ছে। তবে কোন জনসভা বা পথসভা করা হয়নি।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনিরুজ্জামান খানা ভাসানী (একতারা) জানান, ৬টি দল মিলে জোট করেছি। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখনো জোটের কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারিনি।

গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত প্রার্থী কাজী লতিফুল কবীর রাসেল (ফুলের মালা) এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) আব্দুল হাই জানান, প্রচারণা চালাতে গিয়ে একাধিক জায়গায় লাঙ্গলের কর্মীদের বাধার মুখে পড়েছি। শনিবার রাতে নাগেশ্বরীর হাছনাবাদ ইউপিতে আমার নির্বাচনী জনসভায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে। তবে জয়ের ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রচার-প্রচারণায় অনেকটা নির্ভার জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী (লাঙ্গল প্রতীক) ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম-১ আসনের লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে ৪ বার এমপি বানিয়েছে। এবারও জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, এই আসনে ৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা শতভাগ আশাবাদী।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রাম,ভূরুঙ্গামারী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close