কাইয়ুম আহমেদ

  ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নালিশ বেশি, পিছিয়ে নেই আ.লীগ-জাপা

শেষ সময়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি মাত্র তিন দিন। দিন যতই গড়াচ্ছে ভোটের মাঠে প্রচারণার সঙ্গে বাড়ছে উত্তাপ-সহিংসতাও। হামলা, ভাঙচুর, বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। ভোটের আগের এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সময়ে এসব সহিংস ঘটনাসহ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা পড়ছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের স্তূপ। প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সমর্থকরা ইসিতে এসে নানা অভিযোগ করছেন। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে ঐক্যফ্রন্টের। তবে পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কমিশনে।

এদিকে এতদিন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট ভোটের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে একের পর এক যে অভিযোগ দিয়েছিল ইসিতে, শেষ সময়ে একই অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীনরাও। অন্যদিকে, এসব ঘটনায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এখনই নির্বাচন কমিশন লাগাম না টানলে সামনে পরিস্থিতি আরো সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তবে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামায় ভোটারদের আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো ভোটারদের আস্থা তৈরি করা। সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা বাড়বে। সংঘাত পরিহার করতে দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। আর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে কোনো কোনো দল বা প্রার্থী অভিযোগ করছেন। ‘নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে’ বিভিন্ন প্রার্থী বা দলের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজনীতিবিদরা অভিযোগ দিতে পারেন। আমি মনে করি বিরোধীপক্ষকে, নির্বাচন কমিশনকে কিংবা প্রশাসনকে একটি চাপের মুখে রাখার কৌশল এটি। এটা কোনো কোনো দলের স্ট্র্যাটেজিও হতে পারে। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, পেশিশক্তি যারা প্রয়োগ করতে পারে, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা সেই কাজটিই করে যাচ্ছি।

বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের পক্ষ থেকেই ইসিতে সর্বাধিক অভিযোগ করা হচ্ছে। কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে ফৌজদারি অপরাধের মামলা সংক্রান্ত। এসব ক্ষেত্রে পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হয়রানি না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৫২২টি অভিযোগের বিপরীতে ইসির সর্বশেষ তথ্যানুসারে, নির্বাচনী তদন্ত কমিটি এ পর্যন্ত ৭২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদন ইসিতে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি অভিযোগের সত্যতা পায়নি কমিটি। হয়রানিসহ অবশিষ্ট অভিযোগগুলো মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগগুলো দ্রুত খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটি ইসির স্বচ্ছতার বিষয়। যদি তারা তা না করেন ইসির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জাগবে বলে মনে করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।

ইসির নির্বাচন সমন্বয় শাখার সূত্র মতে, অভিযোগ ভেদে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশের আইজি কিংবা নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে তদন্তের জন্য এবং গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ২০১৩ সালের মতো সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়ম করতে চলেছে। যা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত বাধাগ্রস্ত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের জন্য নির্বাচন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।

আখতারুজ্জামান বলেন, সারা দেশে ২৪ জায়গায় বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ভোটের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতন চলছে। এসব নির্যাতনে তাদের হাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন। এ ছাড়া বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ ১১টি গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাবনা, রংপুর, মাগুরা, টাঙ্গাইল, শেরপুর, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, পটুয়াখালী জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইসিতে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে প্রায়ই ইসিতে গিয়ে অভিযোগ তুলে ধরেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবারও বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ইসির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠকে উত্তাপ ছড়িয়েছে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই পক্ষে। একপর্যায়ে সভাশেষ না করেই সংক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে হামলা-বাধা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ শুনতে সিইসি অনীহা প্রকাশ করেন। উপরন্তু তিনি পুলিশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ‘অশোভন আচরণ’ করেন। এ কারণে তারা সভা থেকে উঠে আসেন।

সভা শেষে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ড. কামাল হোসেন বলেন পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি ক্ষেপে যান। সিইসির আচরণ ভদ্রোচিত ছিল না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এবং নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। ইসি সরকারের পক্ষ হয়ে গেছে। সিইসির আচরণ ভদ্রজনিত ছিল না। এজন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।

পরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভার বর্ণনা দিয়ে বলেন, কামাল হোসেন তার বক্তব্যে সিইসির উদ্দেশ্যে বলেন, সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার জোটেরা নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

কামাল হোসেন আরো বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো রক্ষা করতে হবে।

এ সময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে কামাল হোসেনকে বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলছেন? নিজেকে কী মনে করেন? তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন তাহলে বলে দেন আমরা আজকেই প্রেস ক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দিই। পরে সিইসি ইতিবাচক সাড়া না দিলে দুপুরে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংক্ষুব্ধ হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

এদিকে, ইসির সঙ্গে বৈঠকে কামাল হোসেন মাস্তানি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, বৈঠক নিয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি। ওই বৈঠক তারা বয়কট করেননি, এই তথ্যটাই দিতে চাই। তারা আসলে মাস্তানি করতেই গিয়েছিলেন।

এর আগে গত শুক্রবার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দলের সভাপতি হিসেবে বিএনপির প্রার্থীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন এইচ টি ইমাম। ওইদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সঙ্গে বৈঠক করে লিখিত চারটি অভিযোগ জমা দেন এইচ টি ইমাম। অভিযোগের মধ্যে হামলার পাশাপাশি জামায়াতের প্রার্থিতার বিষয়টিও ছিল।

ইসিতে নানা অভিযোগ নিয়ে গেছেন জাতীয় পার্টির নেতারাও। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই দাবি তুলে জাতীয় পার্টি নেতারা তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ আনেন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আজম খান এসব অভিযোগ নিয়ে ইসিতে যান।

বিএনপির যত নালিশ : ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে নালিশ দিয়েছে বিএনপি। গত রোববার সন্ধ্যায় দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সিইসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসেন।

সূত্র মতে, ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী ববি হাজ্জাজ তার নির্বাচনী প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ করার পর গত ১৭ ডিসেম্বর অভিযোগটি আমলে নেয় ইসি এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নথিভুক্ত হয়। ১৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ পাঠানো হয় ইসির পক্ষ থেকে। অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো সে সম্পর্কে অবহিত করতেও অনুরোধ জানায় ইসি। কিন্তু এখনো এর জবাব আসেনি। ঢাকা-৯ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস তার নিজের ও দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেন ইসির কাছে এবং এর প্রতিকার চান। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন তার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনে আবেদন দাখিল করেন এবং এর বিচার চান। অভিযোগ দুটি নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে পাঠিয়ে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চায় ইসি। কিন্তু এখনো এর জবাব আসেনি ইসি কার্যালয়ে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে ইসি সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে। সাতক্ষীরার একটি থানার ওসি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি একটি সভায় নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছিলেন। গত ৭ ডিসেম্বর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীরকে তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ ছিল। এছাড়া ফরিদপুরের এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল হাসানের বাবা কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধার ডিসি সেবাস্টিন রেমার কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইসি সূত্র মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সদর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়। নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী মাহবুবউদ্দিন খোকনকে গুলি করার অভিযোগে সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুল মজিদকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় রমনা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম এবং বিএনপির একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ওসি কবির হোসেনকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করে ইসি। সারা দেশের জন্য গঠিত ১২২টি কমিটির সদস্য হিসেবে ২৪৪ জন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সহকারী জজ দায়িত্ব পালন করছেন।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নির্বাচন,অভিযোগ,নালিশ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close