reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ নভেম্বর, ২০১৮

'ম্যাডাম অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে তিনি তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সোমবার সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সাক্ষাৎ শেষে বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে কারাফটকে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'আপনারা দেখছেন আমরা এই পাঁচজন গিয়েছিলাম। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং মির্জা আব্বাস।' 'ম্যাডাম অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ এবং উনার ট্রিটমেন্ট ঠিকমতো হচ্ছে না' এ কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'পিজি হাসপাতালে ডাক্তাররা তাকে যে চিকিৎসা দিয়েছিল এবং তাকে পিজি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যে পরামর্শ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ সেই পরামর্শ গ্রাহ্য করেনি। হঠাৎ করেই তাকে এই কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি ডাক্তারের ছাড়পত্রও তারা সংগ্রহ করেনি। আমরা তখনই বলেছি এটা অমানবিক এবং অবিলম্বে তাকে আবারও পিজিতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।'

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, 'এটি অমানবিক। আইনের মধ্যে কোথাও নেই যে একজন অসুস্থ মানুষকে যিনি চলতে পারেন না তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করতে হবে এবং তাকে আবার কারাগারে নিয়ে আসা হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং একই সঙ্গে অবিলম্বে তাকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।'

ফখরুল বলেন, 'আমরা বারবার যে দাবি করে আসছি, অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। মুক্তি তার প্রাপ্য। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা এই কথাটি বলছি। তিনি অসুস্থ এখন তাকে মুক্তি দেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি বলে আমরা মনে করি।'

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, 'তার চিকিৎসা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। ৪ দিন ধরে থেরাপি দেওয়া হয়নি। আজকে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে তার ব্যথা আরও বেড়ে গেছে। তিনি আমাদেরকে দোয়া করেছেন এবং তিনি আশা করছেন যে জনগণের যে ঐক্য আমরা তৈরি করেছি সেই ঐক্যের মধ্য দিয়েই আমরা সামনের দিক এগিয়ে যেতে পারবো।'

এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই তাকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে। পরে গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ম্যাডাম অসুস্থ,অত্যন্ত অসুস্থ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close