আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐক্য কাকে বলে? যখন সব দল এক হয়ে যায়, তাকে জাতীয় ঐক্য বলে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের মতো বড় দল বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয় কীভাবে? নীতিহীন নেতাদের মানুষ পছন্দ করে না। কিছুদিন পর দেখবেন বি চৌধুরী ময়মনসিংহে আর ড. কামাল হোসেন থাইল্যান্ডে। তারা কে যে কোথায় যাবেন তা বলা মুশকিল।

আজ শুক্রবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে তোফায়েল আহমদে বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে একটি দেউলিয়া দল। দলটির দলীয় প্রধান কারাগারে, তার ছেলে বিদেশে পলাতক। এমন একটি দল, যেখানে একজনের সঙ্গে আরেকজনের মিল নেই। এমন দলকে দেশের মানুষ সমর্থন করতে পারে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির একটিই টার্গেট, সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটানো। সব ষড়যন্ত্র এই একজনকে ঘিরে। ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতার অশুভ শক্তির যে বিষবৃক্ষ, শাখা-প্রশাখা আজকে বিস্তার করেছে, আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনে এই অশুভ শক্তির করালগ্রাস থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, সারা বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এ দেশেও নির্বাচন হবে। যারা অপশক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের স্বপ্নপূরণ হবে না। সব অপশক্তিকে পরাজিত করে আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও জয়ী করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের শপথ নিতে বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/তাজ